বাংলাদেশকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের খবরটি ভিত্তিহীন | Bangla Affairs
১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আনন্দবাজারকে প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর

বাংলাদেশকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের খবরটি ভিত্তিহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০১:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 68

আইএসপিআর

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আসছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এই সংবাদ বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।

শনিবার আইএসপিআর থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে একথা বলা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর খবরটি প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।

আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, আনন্দবাজার পত্রিকায় (অনলাইন) প্রকাশিত “উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ” শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষনসহ বিবিধ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।’

আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসুত মতামত অনভিপ্রেত, অযাচিত ও আপত্তিকর।

‘সাংবাদিকতার সঠিক রীতি অনুসরণ করার বিপরীতে, উক্ত সংবাদপত্রটি প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এই উপেক্ষা প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথ্যের স্বচ্ছতা এবং সঠিক তথ্য প্রচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আনন্দবাজারকে প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর

বাংলাদেশকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের খবরটি ভিত্তিহীন

সময় ০১:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আসছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এই সংবাদ বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।

শনিবার আইএসপিআর থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে একথা বলা হয়। গত ২৭ ডিসেম্বর খবরটি প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।

আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, আনন্দবাজার পত্রিকায় (অনলাইন) প্রকাশিত “উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ” শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষনসহ বিবিধ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।’

আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসুত মতামত অনভিপ্রেত, অযাচিত ও আপত্তিকর।

‘সাংবাদিকতার সঠিক রীতি অনুসরণ করার বিপরীতে, উক্ত সংবাদপত্রটি প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এই উপেক্ষা প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথ্যের স্বচ্ছতা এবং সঠিক তথ্য প্রচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।