বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নজর বিদেশি ২ প্রতিষ্ঠানের | Bangla Affairs
০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নজর বিদেশি ২ প্রতিষ্ঠানের

বিশেষ প্রতিনিধি
  • সময় ০১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 67

বঙ্গোপসাগর

ভূ-প্রাকৃতি অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর। এই উপসগারের ওপর দৃষ্টি রয়েছে পৃথিবীর বহু দেশের। বিশেষ করে পশ্চিমারা বঙ্গোপসারে অবস্থান সুদৃঢ় করতে বহু বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলের দিকে নজর দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠান

রবার্ট মায়েরস্ক-ড. ইউনূস
রবার্ট মায়েরস্ক-ড. ইউনূস

ডেনিশ প্রতিষ্ঠান এপি মোলার-মায়েরস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়েরস্ক উগলা জানান, তারা চট্টগ্রামের লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। বিশ্বের দুই প্রধান বন্দর-পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মায়েরস্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের লক্ষ্য বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্রে পরিণত করতে সাহায্য করা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম এবং এপি মোলার-মায়েরস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়েরস্ক উগলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে তারা বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিদেশী প্রতিষ্ঠান
বিদেশী প্রতিষ্ঠান

ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমাতে এবং দক্ষতা বাড়াতে নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করতে এবং দূষণ হ্রাস করতে সহায়ক হবে।

সুলতান আহমেদ আরও বলেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে একটি ডিজিটাল অনলাইন শুল্ক পদ্ধতি চালু করতে চান, যা দুর্নীতি কমাতে কার্যকর হবে। পাশাপাশি, ইনলাইন কন্টেইনার ডিপোতেও তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুলতান আহমেদ উল্লেখ করেন, ২০২২ সালেও তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, তবে তখন তাদের প্রস্তাব তৎকালীন সরকার উপেক্ষা করেছিল।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে। এটিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বন্দরে পরিণত করতে চাই।”

সুলতান আহমেদ মাহমুদ-ড. ইউনূস
সুলতান আহমেদ মাহমুদ-ড. ইউনূস

ডেনিশ প্রতিষ্ঠান এপি মোলার-মায়েরস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়েরস্ক উগলা জানান, তারা চট্টগ্রামের লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। তিনি বলেন, কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে এটিকে একটি পরিবেশবান্ধব বন্দরে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, মরক্কো ও ওমানেও তাদের এমন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মায়েরস্ক কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরের উপকূলে একাধিক বন্দর নির্মাণ আমাদের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।” এছাড়া, তিনি বাংলাদেশি বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।

শেয়ার করুন

বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নজর বিদেশি ২ প্রতিষ্ঠানের

সময় ০১:২৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

ভূ-প্রাকৃতি অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর। এই উপসগারের ওপর দৃষ্টি রয়েছে পৃথিবীর বহু দেশের। বিশেষ করে পশ্চিমারা বঙ্গোপসারে অবস্থান সুদৃঢ় করতে বহু বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলের দিকে নজর দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠান

রবার্ট মায়েরস্ক-ড. ইউনূস
রবার্ট মায়েরস্ক-ড. ইউনূস

ডেনিশ প্রতিষ্ঠান এপি মোলার-মায়েরস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়েরস্ক উগলা জানান, তারা চট্টগ্রামের লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। বিশ্বের দুই প্রধান বন্দর-পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মায়েরস্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের লক্ষ্য বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্রে পরিণত করতে সাহায্য করা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম এবং এপি মোলার-মায়েরস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়েরস্ক উগলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে তারা বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিদেশী প্রতিষ্ঠান
বিদেশী প্রতিষ্ঠান

ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমাতে এবং দক্ষতা বাড়াতে নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করতে এবং দূষণ হ্রাস করতে সহায়ক হবে।

সুলতান আহমেদ আরও বলেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে একটি ডিজিটাল অনলাইন শুল্ক পদ্ধতি চালু করতে চান, যা দুর্নীতি কমাতে কার্যকর হবে। পাশাপাশি, ইনলাইন কন্টেইনার ডিপোতেও তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুলতান আহমেদ উল্লেখ করেন, ২০২২ সালেও তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, তবে তখন তাদের প্রস্তাব তৎকালীন সরকার উপেক্ষা করেছিল।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে। এটিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বন্দরে পরিণত করতে চাই।”

সুলতান আহমেদ মাহমুদ-ড. ইউনূস
সুলতান আহমেদ মাহমুদ-ড. ইউনূস

ডেনিশ প্রতিষ্ঠান এপি মোলার-মায়েরস্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মায়েরস্ক উগলা জানান, তারা চট্টগ্রামের লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। তিনি বলেন, কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে এটিকে একটি পরিবেশবান্ধব বন্দরে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, মরক্কো ও ওমানেও তাদের এমন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এপি মোলার-মায়েরস্ক কর্মকর্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরের উপকূলে একাধিক বন্দর নির্মাণ আমাদের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।” এছাড়া, তিনি বাংলাদেশি বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।