ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১১:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 36

বঙ্গবন্ধু

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চরম অস্তিরতা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত একটি ফিস্টে এমন ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয় এবং কেউ ইচ্ছে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে তারা ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে গান বাজিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং কারা বা কাদের ইন্ধনে বিষয়টি করা হয়েছে সেটি দ্রুত জানানোর জন্যে শিক্ষার্থীদের বলেন।

জানা যায়, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফিস্টের কার্যক্রম শুরু হয় শাহজালাল হলে। শিক্ষার্থীরা গান-বাজনা ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তবে বিতর্ক শুরু হয় যখন ফিস্টে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার গান—‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ এবং ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে না’—বাজানো হয়। এসব গানের মাধ্যমে দ্রুতই চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, যার প্রভাব ক্যাম্পাসের বাইরেরও ছড়িয়ে পরে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফেস্টে চলমান গান বাজানো বন্ধ করে দেন এবং বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে উদ্যোগী হন। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নির্দেশ দেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করে দিতে হবে। প্রক্টরিয়াল বডি হল ত্যাগ করার পর বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে বাইক শোডাউন করতে দেখা যায়।

বাকৃবি শাহজালাল হল
বাকৃবি শাহজালাল হল

সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখনও হলগুলোতে অবস্থান করছে। পদধারী নেতাকর্মীরা হল থেকে বের হয়ে গেলেও, বিভিন্ন সময় তাদের আবার হলগুলোতে ফিরে আসার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের নেতাকর্মীরা হলে থেকে বিভিন্ন সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এই বিষয়ে শাহজালাল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান বলেন, “আজ হলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা খতিয়ে দেখবো, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেউ এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে কি না। এছাড়া হলের ছাত্রলীগের পোস্টধারী নেতা ও সমর্থকদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ তাদের কারণে বিভিন্ন সময় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আজকের ঘটনায় শুধু একটি গান বাজানো নয়, অন্য একটি গান বাজানোর বিষয়েও আমি প্রত্যক্ষ করেছি। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো এবং এর পেছনে কার ভূমিকা রয়েছে তা উদঘাটন করবো।

শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা

সময় ১১:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চরম অস্তিরতা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত একটি ফিস্টে এমন ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয় এবং কেউ ইচ্ছে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে তারা ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে গান বাজিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং কারা বা কাদের ইন্ধনে বিষয়টি করা হয়েছে সেটি দ্রুত জানানোর জন্যে শিক্ষার্থীদের বলেন।

জানা যায়, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফিস্টের কার্যক্রম শুরু হয় শাহজালাল হলে। শিক্ষার্থীরা গান-বাজনা ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তবে বিতর্ক শুরু হয় যখন ফিস্টে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার গান—‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ এবং ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে না’—বাজানো হয়। এসব গানের মাধ্যমে দ্রুতই চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, যার প্রভাব ক্যাম্পাসের বাইরেরও ছড়িয়ে পরে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফেস্টে চলমান গান বাজানো বন্ধ করে দেন এবং বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে উদ্যোগী হন। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নির্দেশ দেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করে দিতে হবে। প্রক্টরিয়াল বডি হল ত্যাগ করার পর বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে বাইক শোডাউন করতে দেখা যায়।

বাকৃবি শাহজালাল হল
বাকৃবি শাহজালাল হল

সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখনও হলগুলোতে অবস্থান করছে। পদধারী নেতাকর্মীরা হল থেকে বের হয়ে গেলেও, বিভিন্ন সময় তাদের আবার হলগুলোতে ফিরে আসার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের নেতাকর্মীরা হলে থেকে বিভিন্ন সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এই বিষয়ে শাহজালাল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান বলেন, “আজ হলে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা খতিয়ে দেখবো, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কেউ এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে কি না। এছাড়া হলের ছাত্রলীগের পোস্টধারী নেতা ও সমর্থকদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ তাদের কারণে বিভিন্ন সময় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আজকের ঘটনায় শুধু একটি গান বাজানো নয়, অন্য একটি গান বাজানোর বিষয়েও আমি প্রত্যক্ষ করেছি। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো এবং এর পেছনে কার ভূমিকা রয়েছে তা উদঘাটন করবো।