০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিতরা কী? কারা ফিতরা পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৯:৩২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / 10

এসব পণ্যের দামের ওপর নির্ভর করে ফিতরা নির্ধারণ হয়- ছবি: সংগৃহীত

ঈদ-উল-ফিতর মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর এই উৎসব উদযাপিত হয়। ঈদের আনন্দের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মে এই উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘সদকাতুল ফিতর’ বা ‘ফিতরা’।
এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা, যা সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রতি সচ্ছল মুসলিমদের কর্তব্যকে প্রতিফলিত করে। ফিতরা শুধু ধর্মীয় বিধানই নয়, বরং এটি সামাজিক সমতা ও সম্প্রীতিরও একটি বড় মাধ্যম।

সদকাতুল ফিতর কী?



সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা হলো ঈদ-উল-ফিতরের আগে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে দেওয়া একটি বাধ্যতামূলক দান। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এটি নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবার জন্য ফরজ করেছেন। ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হলো রমজান মাসে রোজা পালনের সময় ঘটে যাওয়া সম্ভাব্য ত্রুটিগুলো সংশোধন করা এবং দরিদ্র মানুষ যাতে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

ফিতরার গুরুত্ব

ইসলামে ফিতরার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু একটি আর্থিক দানই নয়, বরং এটি রোজাদার ব্যক্তির আত্মশুদ্ধিরও একটি মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “ফিতরা রোজাদার ব্যক্তিকে অশ্লীল ও অনৈতিক কাজ থেকে পবিত্র করে এবং দরিদ্রদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে।” (সুনান আবু দাউদ)।

ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে একটি সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শুধু ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক দায়বদ্ধতারও একটি বড় উদাহরণ।



ফিতরা কখন দিতে হয়?

ফিতরা প্রদানের সঠিক সময় হলো ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের আগে। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করলে তা ফিতরা হিসেবে গণ্য হয়। তবে যদি কেউ ঈদের নামাজের পরে ফিতরা আদায় করে, তাহলে তা সাধারণ সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে ফিতরার সওয়াব কম পাওয়া যায় বলে ইসলামিক চিন্তাবিদরা মত দিয়েছেন।

ফিতরার পরিমাণ কীভাবে নির্ধারিত হয়?

ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি প্রধান খাদ্য-পণ্যের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে। এই পণ্যগুলো হলো: গম, যব, খেজুর, কিসমিস এবং পনির। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা সংশ্লিষ্ট দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর এই পণ্যগুলোর বাজার মূল্য অনুসারে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করে।



বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতি বছর ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রকাশ করে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ:

গম বা আটা: ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।
যব: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩৯৬ টাকা।
কিসমিস: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০ টাকা।
খেজুর: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৯৮০ টাকা।
পনির: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৬৪০ টাকা।

প্রত্যেক মুসলিম তার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর সমমূল্য অর্থ ফিতরা হিসেবে আদায় করতে পারেন।

ফিতরা কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

ফিতরা পরিমাপের জন্য ইসলামে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রাচীন আরব পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ‘সা’ এবং ‘অর্ধ সা’ এককে। গম ও চালের ক্ষেত্রে ‘অর্ধ সা’ এবং অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে ‘এক সা’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্ধ সা: ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম।
এক সা: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম।

এই পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। তবে বর্তমানে এই পরিমাণকে কেজি ও গ্রামে রূপান্তর করা হয়েছে, যাতে মানুষ সহজেই ফিতরা আদায় করতে পারেন।



ফিতরা কাদের দিতে হয়?

ফিতরা আদায় করা প্রত্যেক সচ্ছল মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। সচ্ছল বলতে বোঝানো হয়, যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বা খাদ্য রয়েছে। একজন ব্যক্তি শুধু নিজের জন্যই ফিতরা আদায় করবেন না, বরং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। যেমন: স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা ইত্যাদি।

ফিতরা কারা পাবেন?

ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি হলো যারা যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত। ইসলামে যাকাত ও ফিতরা উভয়ই দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য। যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাদেরকে ফিতরা দেওয়া হয়, যাতে তারা ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারেন।

যাকাত ও ফিতরার পার্থক্য



যাকাত ও ফিতরা উভয়ই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান, তবে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

যাকাত: যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এটি সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দান করা বাধ্যতামূলক। যাকাতের পরিমাণ সম্পদের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। বছরের যেকোনো সময় যাকাত আদায় করা যায়।

ফিতরা: ফিতরা শুধু রমজান মাসে এবং ঈদ-উল-ফিতরের আগে আদায় করা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ, যা সম্পদের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না। ফিতরার উদ্দেশ্য হলো রোজার ত্রুটি সংশোধন এবং দরিদ্রদের সাহায্য করা।

সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিধান। এটি শুধু ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক দায়বদ্ধতারও একটি বড় উদাহরণ। ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে একটি সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি রোজাদার ব্যক্তির আত্মশুদ্ধি এবং দরিদ্র মানুষের ঈদের আনন্দে শরিক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে। তাই প্রত্যেক সচ্ছল মুসলিমের উচিত সময়মতো ফিতরা আদায় করে এই মহান ইবাদতের সওয়াব অর্জন করা।



শেয়ার করুন

ফিতরা কী? কারা ফিতরা পাবেন

সময় ০৯:৩২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ঈদ-উল-ফিতর মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর এই উৎসব উদযাপিত হয়। ঈদের আনন্দের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মে এই উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘সদকাতুল ফিতর’ বা ‘ফিতরা’।
এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা, যা সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রতি সচ্ছল মুসলিমদের কর্তব্যকে প্রতিফলিত করে। ফিতরা শুধু ধর্মীয় বিধানই নয়, বরং এটি সামাজিক সমতা ও সম্প্রীতিরও একটি বড় মাধ্যম।

সদকাতুল ফিতর কী?



সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা হলো ঈদ-উল-ফিতরের আগে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে দেওয়া একটি বাধ্যতামূলক দান। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এটি নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবার জন্য ফরজ করেছেন। ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হলো রমজান মাসে রোজা পালনের সময় ঘটে যাওয়া সম্ভাব্য ত্রুটিগুলো সংশোধন করা এবং দরিদ্র মানুষ যাতে ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, তা নিশ্চিত করা।

ফিতরার গুরুত্ব

ইসলামে ফিতরার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু একটি আর্থিক দানই নয়, বরং এটি রোজাদার ব্যক্তির আত্মশুদ্ধিরও একটি মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “ফিতরা রোজাদার ব্যক্তিকে অশ্লীল ও অনৈতিক কাজ থেকে পবিত্র করে এবং দরিদ্রদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে।” (সুনান আবু দাউদ)।

ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে একটি সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শুধু ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক দায়বদ্ধতারও একটি বড় উদাহরণ।



ফিতরা কখন দিতে হয়?

ফিতরা প্রদানের সঠিক সময় হলো ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের আগে। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করলে তা ফিতরা হিসেবে গণ্য হয়। তবে যদি কেউ ঈদের নামাজের পরে ফিতরা আদায় করে, তাহলে তা সাধারণ সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে ফিতরার সওয়াব কম পাওয়া যায় বলে ইসলামিক চিন্তাবিদরা মত দিয়েছেন।

ফিতরার পরিমাণ কীভাবে নির্ধারিত হয়?

ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি প্রধান খাদ্য-পণ্যের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে। এই পণ্যগুলো হলো: গম, যব, খেজুর, কিসমিস এবং পনির। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা সংশ্লিষ্ট দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর এই পণ্যগুলোর বাজার মূল্য অনুসারে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করে।



বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতি বছর ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রকাশ করে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ:

গম বা আটা: ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।
যব: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩৯৬ টাকা।
কিসমিস: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০ টাকা।
খেজুর: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৯৮০ টাকা।
পনির: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৬৪০ টাকা।

প্রত্যেক মুসলিম তার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর সমমূল্য অর্থ ফিতরা হিসেবে আদায় করতে পারেন।

ফিতরা কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

ফিতরা পরিমাপের জন্য ইসলামে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রাচীন আরব পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ‘সা’ এবং ‘অর্ধ সা’ এককে। গম ও চালের ক্ষেত্রে ‘অর্ধ সা’ এবং অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে ‘এক সা’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্ধ সা: ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম।
এক সা: ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম।

এই পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। তবে বর্তমানে এই পরিমাণকে কেজি ও গ্রামে রূপান্তর করা হয়েছে, যাতে মানুষ সহজেই ফিতরা আদায় করতে পারেন।



ফিতরা কাদের দিতে হয়?

ফিতরা আদায় করা প্রত্যেক সচ্ছল মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। সচ্ছল বলতে বোঝানো হয়, যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বা খাদ্য রয়েছে। একজন ব্যক্তি শুধু নিজের জন্যই ফিতরা আদায় করবেন না, বরং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। যেমন: স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা ইত্যাদি।

ফিতরা কারা পাবেন?

ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি হলো যারা যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত। ইসলামে যাকাত ও ফিতরা উভয়ই দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য। যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাদেরকে ফিতরা দেওয়া হয়, যাতে তারা ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারেন।

যাকাত ও ফিতরার পার্থক্য



যাকাত ও ফিতরা উভয়ই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান, তবে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

যাকাত: যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এটি সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দান করা বাধ্যতামূলক। যাকাতের পরিমাণ সম্পদের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। বছরের যেকোনো সময় যাকাত আদায় করা যায়।

ফিতরা: ফিতরা শুধু রমজান মাসে এবং ঈদ-উল-ফিতরের আগে আদায় করা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ, যা সম্পদের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না। ফিতরার উদ্দেশ্য হলো রোজার ত্রুটি সংশোধন এবং দরিদ্রদের সাহায্য করা।

সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিধান। এটি শুধু ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক দায়বদ্ধতারও একটি বড় উদাহরণ। ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে একটি সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি রোজাদার ব্যক্তির আত্মশুদ্ধি এবং দরিদ্র মানুষের ঈদের আনন্দে শরিক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে। তাই প্রত্যেক সচ্ছল মুসলিমের উচিত সময়মতো ফিতরা আদায় করে এই মহান ইবাদতের সওয়াব অর্জন করা।