ফলোয়ার বাড়াতে মেয়েকে বিষ প্রয়োগ করতেন মা
- সময় ০৯:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
- / 4
অনলাইনে ফলোয়ার বাড়াতে নিজের শিশুকে বিষ প্রয়োগ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এক অস্ট্রেলিয়ান ইনফ্লুয়েন্সার মায়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুইন্সল্যান্ডের রাজ্যে বসবাস করা ওই নারী দাবি করেছেন যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সন্তানের মারাত্মক অসুস্থতার সাথে লড়াইয়ের গল্পগুলো ফলোয়ারদের সাথে শেয়ার করছিলেন। এটা কোন অপরাধ নয় বলে জানান তিনি।
কিন্তু গোয়েন্দের একটি টিম তদন্তের পর অভিযোগ করেছেন যে তিনি (অভিযুক্ত মা) তার এক বছরের মেয়েকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খাইয়েছিলেন এবং তারপরে শিশুটি অত্যন্ত যন্ত্রণায় থাকা অবস্থায় তার ছবি তুলছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। ছবি ও ভিডিও দেখে অভিযুক্ত মায়ের অনলাইন পেজে আবেগপূর্ণ কমেন্ট করেন অনেক ফলোয়ার। সেই সাথে, শিশুটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য করার অনুরোধ করেন তার ফলোয়াররা।
গত বছরের অক্টোবরে, যখন শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো, তখন ডাক্তাররা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে শিশুটিকে মাদক দেয়া হচ্ছে।
ডাক্তাররা আশঙ্কার জেরে তদন্তে নামে পুলিশ। কয়েক মাস তদন্তের পর, ৩৪ বছর বয়সী নারীর বিরুদ্ধে নির্যাতন, বিষ প্রয়োগ, শিশু শোষণ এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়।
“এই ধরণের অপরাধ কতটা জঘন্য তা বলার কোনও ভাষা নেই,” কুইন্সল্যান্ড পুলিশের গোয়েন্দা অফিসার পল ডাল্টন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন।
গোয়েন্দারা বলেছেন, ২০২৪ সামের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে সানশাইন কোস্ট অঞ্চলের ওই নারী অনুমোদন ছাড়াই তার এক বছরের শিশুটিকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি ওষুধ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর পুলিশ তদন্ত শুরু করে, যখন শিশুটিকে ‘গুরুতর মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার কারণে হাসপাতালে নেয়া হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে অননুমোদিত ওষুধের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
অভিযুক্ত নারী তার মেয়ের জন্য অনলাইনে একটি ফান্ড কালেক্ট পেজ খুলেন গো-ফান্ড-মি (Go fund me) নামে। এরপর ওই পেজের মাধ্যমে ফলোয়ারদের থেকে ৬০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার সংগ্রহ করেছেন তিনি।
আগামীকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ব্রিসবেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারীকে হাজির করা হবে বলে জানায় পুলিশ কর্মকর্তা।