প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
- সময় ১১:১৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
- / 20
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শপথ নেন ট্রাম্প। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ পড়ালেন। সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও শপথ নিয়েছেন।
শপথগ্রহণের পর উদ্বোধনী ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে নতুন প্রেসিডেন্টের। এই ভাষণে ট্রাম্প আগামী চার বছরে তার পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরবেন।
তবে গত কয়েক বছর ক্যাপিটল হিলের পশ্চিম লনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও এবার সেটি হচ্ছে ক্যাপিটল রোটুন্ডায়।
এছাড়া প্রেসিডেন্সিয়াল প্যারেড ও সংগীতানুষ্ঠান হবে ইনডোর ভ্যানু ক্যাপিটল ওয়ান এরিনায়। ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে নতুন করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং তার প্রেমিকা লরেন সানচেজ। ক্যাপিটল ভবনে অতিথিদের আসনে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ট মিত্র ইলন মাস্কও হাজির হয়েছেন। অনুষ্ঠানে অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়া আইনপ্রণেতাদের কার্যালয় থেকে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিতরণ করা হয় ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি টিকিট। তবে যারা ওই টিকিট পাননি, তারা ন্যাশনাল মল থেকে বিশালাকারের স্ক্রিনে শপথ অনুষ্ঠান দেখেছেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী ক্যারি আন্ডারউড ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’ গানটি গাইবেন। ওই অনুষ্ঠানে গান গাইবেন মার্কিন সংগীতশিল্পী লি গ্রিনউডও। তার গাওয়া দেশাত্মবোধক গান ‘গড ব্লেস দ্য ইউএসএ’ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর সোমবার রাতে তিনটি আনুষ্ঠানিক গালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সবগুলো অনুষ্ঠানেই ট্রাম্প উপস্থিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর বাইরেও তার অভিষেক ঘিরে বেশ কিছু আয়োজন রয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারির পরিকল্পনা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। প্রথম দিনেই অন্তত ১০০ নির্বাহী আদেশ জারি করবেন তিনি। সীমান্ত সংকট, অভিবাসী প্রত্যাবাসনসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নানা ইস্যুতে ধাপে ধাপে জারি করা হবে এসব আদেশ। ক্যাপিটল হিলে রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে ব্যক্তিগত এক বৈঠকে নিজেই এ পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প।