ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্টকে না সরালে বড় বিপদ হতে পারে

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১২:১৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 38

দক্ষিণ কোরিয়া

গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কয়েকবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক শূণ্যতা সৃষ্টি হতে পারে, সে বিবেচনায় এখনো টিকে আছেন তিনি। তবে কতদিন টিকে থাকবেন, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। এরই মাঝে এশিয়ার আরেক দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতে সামরিক শাসন জারির এক দিনের মাথায় তা আবার প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কিন্তু দেশটির পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং হুন স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার বলেন, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে না সরানো হয় তাহলে দেশের জনগণ বড় বিপদে পড়বে।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে হান ডং হুন আরও বলেন, যদি ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে যান, তাহলে সামরিক আইন জারি করার মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে। আর এ ধরনের প্রচেষ্টা রিপাবলিক অব কোরিয়া ও এ দেশের জনগণকে বড় বিপদে ফেলবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে অনুমোদনের প্রতি সমর্থন কমেছে। আজ গ্যালাপ কোরিয়ার নতুন জরিপ বলছে, তাঁর প্রতি সমর্থনের হার ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে তাঁর প্রতি সমর্থনের হার ছিল ১৬ শতাংশ।

হান ডং হুন টিভিতে প্রচারিত এক বক্তব্যে আরও বলেন, সামরিক আইন জারি করার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহে তিনি এই সামরিক আইন জারি করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ
দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ

পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান জানান, প্রেসিডেন্ট ইওল গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটকের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি তাঁদের আটক করার নির্দেশ দেন।

এদিকে বিরোধী জোট প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করতে আগামী শনিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করতে চায়। তবে দ্বিধাবিভক্ত ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টি অভিশংসনের পক্ষে ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়াং-হিয়াক।

গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া। অভিশংসনের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ইউন। ছয়টি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী দলগুলোর একটি জোট গত বুধবার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন চেয়ে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

৩ ডিসেম্বর রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা করলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতেই সামরিক শাসন জারির কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত নির্মূলের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। যার ভিত্তিতে আমরা সামরিক শাসন পরিচালনার জন্য মোতায়েন করা সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। সামরিক শাসন জারি জনতার মধ্যে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। ওই ঘোষণার পর পরই সিউলের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন তারা।

 

শেয়ার করুন

প্রেসিডেন্টকে না সরালে বড় বিপদ হতে পারে

সময় ১২:১৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কয়েকবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক শূণ্যতা সৃষ্টি হতে পারে, সে বিবেচনায় এখনো টিকে আছেন তিনি। তবে কতদিন টিকে থাকবেন, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। এরই মাঝে এশিয়ার আরেক দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতে সামরিক শাসন জারির এক দিনের মাথায় তা আবার প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কিন্তু দেশটির পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং হুন স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার বলেন, যদি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে না সরানো হয় তাহলে দেশের জনগণ বড় বিপদে পড়বে।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে হান ডং হুন আরও বলেন, যদি ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থেকে যান, তাহলে সামরিক আইন জারি করার মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে। আর এ ধরনের প্রচেষ্টা রিপাবলিক অব কোরিয়া ও এ দেশের জনগণকে বড় বিপদে ফেলবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে অনুমোদনের প্রতি সমর্থন কমেছে। আজ গ্যালাপ কোরিয়ার নতুন জরিপ বলছে, তাঁর প্রতি সমর্থনের হার ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে তাঁর প্রতি সমর্থনের হার ছিল ১৬ শতাংশ।

হান ডং হুন টিভিতে প্রচারিত এক বক্তব্যে আরও বলেন, সামরিক আইন জারি করার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহে তিনি এই সামরিক আইন জারি করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ
দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ

পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান জানান, প্রেসিডেন্ট ইওল গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আটকের নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি তাঁদের আটক করার নির্দেশ দেন।

এদিকে বিরোধী জোট প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করতে আগামী শনিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করতে চায়। তবে দ্বিধাবিভক্ত ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টি অভিশংসনের পক্ষে ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়াং-হিয়াক।

গত মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারির ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া। অভিশংসনের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট ইউন। ছয়টি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী দলগুলোর একটি জোট গত বুধবার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন চেয়ে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

৩ ডিসেম্বর রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা করলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতেই সামরিক শাসন জারির কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত নির্মূলের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। যার ভিত্তিতে আমরা সামরিক শাসন পরিচালনার জন্য মোতায়েন করা সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। সামরিক শাসন জারি জনতার মধ্যে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। ওই ঘোষণার পর পরই সিউলের রাস্তায় বেরিয়ে আসেন তারা।