তাকে বলা হয়, ভারতীয় রাজনীতির গত দেড় দশকের একমাত্র ম্যানুপুলেটর। সবচে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশটির জাতীয় এবং রাজ্য ভিত্তিক নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার নিদারুণ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিটির নামের সাথে একটি মহাসাগরের নাম জুড়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে, তাঁর জ্ঞানের পরিধি এবং ভোটারদের প্রভাবিত করে যে দলের পক্ষে তিনি স্বার্থের বিনিময়ে কাজটি নিয়েছিলেন, সেই দলকে জিতিয়ে এসেছেন। ভারতের ৭৮ বছরের ইতিহাসে এমন দক্ষ রাজনীতিক পর্যবেক্ষক বা ভোট কুশলী হিসেবে কেউ পেরেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

তাকে সমসাময়িক ভারতীয় রাজনীতির রহস্য মানব বা ম্যানুপুলেটর অব ভোট ইন ইন্ডিয়া বলা হয়ে থাকে। তার এক ঘনিষ্টজন বাংলা অ্যাফেয়ার্সে বিশেষ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন, সাউথ ব্লক থেকে শুরু করে পুরো ভারতের অনেক গোপন আলোচনায় তাকে সেই মহাসাগরের নামেই ডাকা হয়। তার নাম পি কে। এই নামেই তিনি সমধিক পরিচিত।

প্রশান্ত কিশোরকেই বলা হয়ে থাকে প্রশান্ত মহাসাগর। ভারতীয় মহাসাগরের মানুষ হয়ে তিনি প্রশান্ত থেকেই পুরো ভারতবর্ষে ভোট ম্যাকানিজম করে যাচ্ছেন। “সহি লগ, সহী সোচ, সমুহিক প্রয়াস” এই স্লোগানকে প্রতিবাদ্য রেখে তিনি রাজনৈতিক দলও প্রতিষ্ঠা করেছেন। দলের প্রতিষ্ঠা হিসাবে তিনি কাজ করে যাচ্ছে ২ বছর ধরে। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত জন সরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠা তিনি হলেও প্রেসিডেন্ট হননি। রাজনৈতিক পরিপক্কতা তার কতটুকু সেটি এখানে বিদ্যমান।

এতদিন ভোট রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় থাকলেও এবার তাকেই তুলে নিয়ে গেছে ভারতীয় পুলিশ। সেটি ও করা হয়ে গান্ধি ময়দান থেকে।

বিপাকে প্রশান্ত কিশোর। পটনার গান্ধি ময়দানে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনরত জন সুররাজ প্রধান প্রশান্ত কিশোরকে ভোররাতে আটক করল বিহার পুলিশ। ১৩ ডিসেম্বর বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে জনসুরাজের প্রতিষ্ঠাতা আমরণ অনশন করছেন প্রশান্ত কিশোর।

বিপিএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এদিকে সরকার পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার পরে সেই আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের দাবি, সরকারের এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট যে অনিয়ম হয়েছে। এরই মাঝে জেলা প্রশাসন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর ‘১৫০ জন সমর্থকের’ বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। বলা হয়, প্রশান্ত কিশোরের এই বিক্ষোভ ‘অবৈধ’। এই আবহে সোমবার ভোররাতে প্রশান্ত কিশোরকে গান্ধি ময়দান থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।