ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ চাইলো ২০, আদালত দিলেন ৪ দিন

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 22

রিমান্ড

পৃথক দুই মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ২ দিন করে মোট ৪ দিন।
কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দুই দিন করে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তা কামারাঙ্গীরচর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস তার ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

কামরুল ইসলাম
কামরুল ইসলাম

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাংচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ এক জনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অপর আসামিরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর বাদীর বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাংচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সগির আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন।

মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছাড়াও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

শেয়ার করুন

পুলিশ চাইলো ২০, আদালত দিলেন ৪ দিন

সময় ১২:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫

পৃথক দুই মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ২ দিন করে মোট ৪ দিন।
কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দুই দিন করে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তা কামারাঙ্গীরচর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস তার ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

কামরুল ইসলাম
কামরুল ইসলাম

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাংচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ এক জনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অপর আসামিরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর বাদীর বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাংচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সগির আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন।

মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছাড়াও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।