পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার কপালে দুঃখ শেষ হচ্ছে না
- সময় ১১:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 43
গত বছরের আলোচিত সেই নারী পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সানজিদা আফরিনের কপালে দুঃখ যেন শেষই হচ্ছে না। এবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন প্রভাবশালীকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই এখন সাময়িক রবখাস্ত হয়েছেন সানজিদা আফরিন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাকে বরখাস্ত করার বিষয়টি জানানো হয়। বর্তমানে তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত রয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সানজিদাকে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্তকালে তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ। কিন্তু ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার আগেই বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করেছেন, তিনি সানজিদা আফরিনের নির্দেশে এই কাজটি করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীর আরিফকেও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এডিসি সানজিদা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ রকম আলোচিত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের এখতিয়ার তার নেই।
এডিসি সানজিদা আফরিন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটক করা ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় আসেন।
আলোচিত এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার পুরো নাম সানজিদা আফরিন নিপা। তিনি ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী।
সানজিদা আফরিনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের নাগদা শিমলা ইউনিয়নে। এম হোসেন আলীর মেয়ে সানজিদা ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তার বড় বোন পেশায় একজন ডাক্তার।
২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন সানজিদা। এর পর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সানজিদা। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগদান করেন। সর্বশেষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।