পুলিশের বাধার পর ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপির স্মারকলিপি
- সময় ১০:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 49
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে। বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সেখানে যাওয়ার আগে পুলিশের বাধার মুখে পরে দলটির নেতাকর্মীরা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা দিকে তারা হাইকমিশনে প্রবেশ করেন। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বাড্ডা অভিমুখী রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ায় দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে পদযাত্রা থেমে যায়। রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান দেন।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। পদযাত্রা করে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পদযাত্রায় সংগঠনগুলোর কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা একটার দিকে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারিধারার ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি অফিসার ও কাউন্সেলর নারপাত সিং এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের ডিফেন্স এট্যাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনমেত সিং সাবারওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন। তারা ভারতকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। পদযাত্রায় অংশ নিতে দলের প্রধান কার্যালয়ের কাছে তারা অবস্থান নেন। পরে ১১টা ৩৫ মিনিটে আনুষ্ঠানিক পদযাত্রা শুরু হয়।
এরআগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা করে স্মারকলিপি দেবে বিএনপির ৩ সংগঠন। রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ নিয়ে তিন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। সূত্র জানায়, বৈঠকে পদযাত্রা ও স্মারকলিপির পর একই ইস্যুতে ভারতের আগরতলার এপারে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত করা হতে পারে। লংমার্চ কর্মসূচির সম্ভাব্য দিন ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে সংগঠনের নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে রাতে ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন। আজ-কালের মধ্যে লংমার্চের চূড়ান্ত তারিখ জানানো হবে বলে যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিশ্চিত করেছেন। তারা আরও বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কারণে এর আগেই তারা লংমার্চ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।