ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানির জন্য ভারতকে চাপ দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৬:১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 24

অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইউরোপে অনেক দানবীয় নদী আছে, যেটা জার্মান থেকে শুরু হয়েছে এবং ন্যাদারল্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়েছে। সেগুলোতে জাহাজ চলেছে। নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনও যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেওয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এখানে সুইজ গেইটগুলো খুলে দেয়। আবার ওদের এখানে যখন পানি স্বল্পতা থাকে তখন সুইজ গেইটগুলো বন্ধ করে দেয়। তারা এটা ইচ্ছামতো করছে, সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে যায়। শুকনো হয়ে যায়। গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নিয়ে আমরা কত আর সহ্য করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে কাজগুলো করছি, সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। পানির ব্যাপারে শুধু ফারাক্কা নয়, আরও অভিন্ন যে ৫৪টি নদী আছে, সেগুলো যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করবো।

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি‘র সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

শেয়ার করুন

পানির জন্য ভারতকে চাপ দিতে হবে

সময় ০৬:১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইউরোপে অনেক দানবীয় নদী আছে, যেটা জার্মান থেকে শুরু হয়েছে এবং ন্যাদারল্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়েছে। সেগুলোতে জাহাজ চলেছে। নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনও যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেওয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এখানে সুইজ গেইটগুলো খুলে দেয়। আবার ওদের এখানে যখন পানি স্বল্পতা থাকে তখন সুইজ গেইটগুলো বন্ধ করে দেয়। তারা এটা ইচ্ছামতো করছে, সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে যায়। শুকনো হয়ে যায়। গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নিয়ে আমরা কত আর সহ্য করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে কাজগুলো করছি, সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। পানির ব্যাপারে শুধু ফারাক্কা নয়, আরও অভিন্ন যে ৫৪টি নদী আছে, সেগুলো যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করবো।

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি‘র সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।