পাকিস্তান থেকে সেই জাহাজে ডলোমাইটসহ যা যা এলো
- সময় ০৮:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 21
পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে কনটেইনার পণ্য নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাহাজটি বন্দরে পৌঁছায়। গতবারের মতো এবারো আগ্রহ তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানি থেকে কি কি পণ্য এসেছে তা নিয়ে। এবার ডলোমাইটসহ নানা পণ্য নিয়ে করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জাহাজটি।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে ৮১১টি (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি রওনা দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটি প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই সময় জাহাজটিতে বাংলাদেশের জন্য নেওয়া হয় ১১৩টি কনটেইনার। এরপর বাংলাদেশের জন্য পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজে তোলা হয় আরও ৬৯৮টি কনটেইনার। এর মধ্যে ২৮৫টি কনটেইনারে রয়েছে পরিশোধিত চিনি, ১৭১টি কনটেইনারে ডলোমাইট, ১৩৮টি কনটেইনারে সোডা অ্যাশ, ৪৬টি কনটেইনারে কাপড়ের রোল, ২০টি কনটেইনারে আখের গুড়, ১৮টি কনটেইনারে আলু এবং ২০টি কনটেইনারে পুরোনো লোহার টুকরা, রেজিন ও কাপড় রয়েছে।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা কনটেইনাগুলোতে চিনি, খেজুর, লুব অয়েল ও কিছু খাদ্যপণ্য রয়েছে।
গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বলেন, জাহাজটিতে প্রথমবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ কনটেইনার আসছে। সরাসরি জাহাজটি আসায় কয়েকদিন সময় কম লাগছে। এতে ব্যবসায়ীদের খরচ সাশ্রয় হচ্ছে।
গতমাসে পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া কনটেইনারে ছিল শিল্পের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য। এসব পণ্যের ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করেছে।
তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে জাহাজটিতে করে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি। মোট ১১৫ কনটেইনারে ছিল সোডা অ্যাশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি পণ্য হলো খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। ডলোমাইট ছিল ৪৬ কনটেইনারে। মোট ৩৫ একক কনটেইনারে আনা হয়েছিল চুনাপাথর। ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট আনা ছিল ছয় কনটেইনারে।
এ ছাড়া কাচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ আনা হয়েছিল ১০ কনটেইনারে। শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রং ইত্যাদি ছিল ২৮ কনটেইনারে। একটি কনটেইনারে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস কারখানা, নাসির ফ্লোট গ্লাস, প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আনা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বন্দরগুলোর চেয়ে বেশি। সি ডিসট্যান্স ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী—এ দূরত্ব ২ হাজার ৬১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি। এ জন্য নতুন সেবা চালু করা দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ কয়েকটি দেশের বন্দরকে যুক্ত করেছে। তাদের এই সেবায় যুক্ত জাহাজটি প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে আসে। এরপর ভারতের মুন্দ্রা, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান ও মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।