ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি নম্বর থেকে বিমানে বোমা হামলার হুমকি

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 20

পাকিস্তানি নম্বর থেকে বিমানে বোমা হামলার হুমকি

ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির বার্তাটি একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে দেওয়া হয়েছে। এয়ারপোর্ট এপিবিএন’র ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ওই বার্তা দেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিমানবন্দর এপিবিএন সূত্র জানিয়েছে, এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হুমকির বার্তাটি আসে। সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এএসপি আব্দুল হান্নান।

ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের যে নম্বরটি থেকে বার্তাটি আসে সেটি পাকিস্তানি বলে জানিয়েছে এপিবিএন। বার্তাটি সতর্কতা হিসেবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে, এটি কোনো হুমকি নয়— বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

এ সময় ওই নম্বরে ফোন দেওয়া হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। তবে চ্যাটিং অব্যহত রাখা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। ওই নম্বর থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আনার জন্য কোনো বিরোধী পক্ষ এই কাজ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে বলে একটি হুমকি আসে কর্তৃপক্ষের কাছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুমকি পাওয়া ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা বোমা জাতীয় কোনও বস্তুর উপস্থিতি পায়নি বোমা নিষ্ক্রিয় দল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই হুমকিতে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে কেটেছে সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম থেকে শুরু করে অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তা-নিরাপত্তা কর্মীরা দুপুর ১২টার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

এর আগে সকাল থেকেই পুরো বিমানবন্দর এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কন্ট্রোল রুমে একটি বার্তা আসে। ওই বার্তায় বলা হয়— রোম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৩৫৬ এ বোমা রাখা আছে। যেকোনও সময় বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটবে। এমন অবস্থায় কন্ট্রোল রুম থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়।

খবর পাওয়ার পরপরই বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ সবাই বিমানবন্দরে ছুটে আসেন। শুরু হয় নিরাপত্তা সদস্যদের মোতায়েন। বিমান বাহিনীর একটি বোমা নিষ্ক্রিয় দল, কুইক রেসপন্স ফোর্স, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেন।

শেয়ার করুন

পাকিস্তানি নম্বর থেকে বিমানে বোমা হামলার হুমকি

সময় ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির বার্তাটি একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে দেওয়া হয়েছে। এয়ারপোর্ট এপিবিএন’র ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ওই বার্তা দেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিমানবন্দর এপিবিএন সূত্র জানিয়েছে, এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হুমকির বার্তাটি আসে। সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এএসপি আব্দুল হান্নান।

ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের যে নম্বরটি থেকে বার্তাটি আসে সেটি পাকিস্তানি বলে জানিয়েছে এপিবিএন। বার্তাটি সতর্কতা হিসেবে জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে, এটি কোনো হুমকি নয়— বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

এ সময় ওই নম্বরে ফোন দেওয়া হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। তবে চ্যাটিং অব্যহত রাখা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। ওই নম্বর থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আনার জন্য কোনো বিরোধী পক্ষ এই কাজ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে বলে একটি হুমকি আসে কর্তৃপক্ষের কাছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুমকি পাওয়া ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা বোমা জাতীয় কোনও বস্তুর উপস্থিতি পায়নি বোমা নিষ্ক্রিয় দল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই হুমকিতে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে কেটেছে সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম থেকে শুরু করে অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তা-নিরাপত্তা কর্মীরা দুপুর ১২টার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

এর আগে সকাল থেকেই পুরো বিমানবন্দর এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কন্ট্রোল রুমে একটি বার্তা আসে। ওই বার্তায় বলা হয়— রোম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৩৫৬ এ বোমা রাখা আছে। যেকোনও সময় বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটবে। এমন অবস্থায় কন্ট্রোল রুম থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়।

খবর পাওয়ার পরপরই বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ সবাই বিমানবন্দরে ছুটে আসেন। শুরু হয় নিরাপত্তা সদস্যদের মোতায়েন। বিমান বাহিনীর একটি বোমা নিষ্ক্রিয় দল, কুইক রেসপন্স ফোর্স, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেন।