পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল | Bangla Affairs
০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৮:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 31

সংস্কার কমিশন

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করেছে তার মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করার সময় পাবে এসব সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলো হলো- স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সময় বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়েছে।

বাকি তিনটি সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। মার্চ মাস পর্যন্ত এসব কমিশনের সময় রয়েছে। এখন তা আরও বাড়ল। এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে।

এগুলো হলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।

প্রথম ধাপে গত বছরের অক্টোবরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন ও বিচার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এসব কমিশনকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। এর আগে ৩ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। গত ৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়।

ছয়টি কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। অন্যদিকে গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলোকে প্রতিবেদন দিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া ২২ মার্চ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

শেয়ার করুন

পাঁচ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ল

সময় ০৮:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করেছে তার মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করার সময় পাবে এসব সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলো হলো- স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সময় বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এর মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। আর স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়েছে।

বাকি তিনটি সংস্কার কমিশন এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। মার্চ মাস পর্যন্ত এসব কমিশনের সময় রয়েছে। এখন তা আরও বাড়ল। এর আগে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে।

এগুলো হলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।

প্রথম ধাপে গত বছরের অক্টোবরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন ও বিচার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এসব কমিশনকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। এর আগে ৩ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। গত ৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়।

ছয়টি কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। অন্যদিকে গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলোকে প্রতিবেদন দিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া ২২ মার্চ গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলো দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।