০৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ মণ ওজনের ভোল মাছ, বিক্রি হলো ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ
  • সময় ১১:২১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 23

পাঁচ মণ ওজনের ভোল মাছ,

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯৫ কেজি (৫.২২ মণ) ওজনের বিশাল আকৃতির একটি ভোল মাছ। মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় চার ফুট, আর এটি নদী থেকে তুলতে ছয়জন জেলের প্রয়োজন হয়।

রোববার বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে মাছটি ধরা পড়ে।

কীভাবে ধরা পড়ল বিশাল মাছটি?

শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জানান, ভোরে ১০-১২ জন জেলে নাফ নদীর ঘোলারচর অংশে টানা জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর জাল টানতে গিয়ে তারা বিশাল ভোল মাছটি দেখতে পান। পরে রশি বেঁধে মাছটি নদী থেকে তুলে চরের ওপরে আনা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেটি শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া মৎস্যঘাটে নেওয়া হয়। খবর শুনে মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।

মূল্য ও বিক্রির প্রস্তুতি

প্রথমে মাছটির দাম হাঁকা হয় ৩.৫ লাখ টাকা। পরে টেকনাফ জালিয়াপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী জাফর আলম ১,৩৫০ টাকা কেজি দরে ২.৬ লাখ টাকায় এটি কিনে নেন। মাছটি টেকনাফে নিয়ে বরফে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং পৌরসভায় মাইকিং করে জানানো হচ্ছে যে, প্রতি কেজি ১,৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এখন পর্যন্ত তিন মণের মতো মাছ আগাম বিক্রি হয়ে গেছে।

মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্য

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীত মৌসুমে ৫-১৫ কেজি ওজনের ভোল মাছ সাধারণত ধরা পড়ে, তবে এই মাছের ওজন ৪০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি আরও জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞাগুলো মানার ফলে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে স্থানীয় জেলেরা যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন, তেমনি বিরল ও বিশাল মাছ দেখে সাধারণ মানুষও উচ্ছ্বসিত।

 

শেয়ার করুন

পাঁচ মণ ওজনের ভোল মাছ, বিক্রি হলো ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায়

সময় ১১:২১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯৫ কেজি (৫.২২ মণ) ওজনের বিশাল আকৃতির একটি ভোল মাছ। মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় চার ফুট, আর এটি নদী থেকে তুলতে ছয়জন জেলের প্রয়োজন হয়।

রোববার বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে মাছটি ধরা পড়ে।

কীভাবে ধরা পড়ল বিশাল মাছটি?

শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জানান, ভোরে ১০-১২ জন জেলে নাফ নদীর ঘোলারচর অংশে টানা জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর জাল টানতে গিয়ে তারা বিশাল ভোল মাছটি দেখতে পান। পরে রশি বেঁধে মাছটি নদী থেকে তুলে চরের ওপরে আনা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেটি শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া মৎস্যঘাটে নেওয়া হয়। খবর শুনে মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।

মূল্য ও বিক্রির প্রস্তুতি

প্রথমে মাছটির দাম হাঁকা হয় ৩.৫ লাখ টাকা। পরে টেকনাফ জালিয়াপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী জাফর আলম ১,৩৫০ টাকা কেজি দরে ২.৬ লাখ টাকায় এটি কিনে নেন। মাছটি টেকনাফে নিয়ে বরফে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং পৌরসভায় মাইকিং করে জানানো হচ্ছে যে, প্রতি কেজি ১,৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এখন পর্যন্ত তিন মণের মতো মাছ আগাম বিক্রি হয়ে গেছে।

মৎস্য কর্মকর্তার বক্তব্য

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীত মৌসুমে ৫-১৫ কেজি ওজনের ভোল মাছ সাধারণত ধরা পড়ে, তবে এই মাছের ওজন ৪০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

তিনি আরও জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞাগুলো মানার ফলে মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে স্থানীয় জেলেরা যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন, তেমনি বিরল ও বিশাল মাছ দেখে সাধারণ মানুষও উচ্ছ্বসিত।