ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
একজনের লাশ উদ্ধার

পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া
  • সময় ০৯:১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 75

পাঁচ বাংলাদেশি

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তের নাফ নদী থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। তার মধ্যে এক জেলের মরদেহ নাফ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জেলে আঞ্জুমান পাড়া এলাকার মৃত: মো. হোসেনের ছেলে ছৈয়দুল বশর (১৯) বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীতে স্থানীয় জেলেরা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানিয়েছে, গত ১৪  নভেম্বর বাংলাদেশি ৫ জেলে সীমান্তের নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকে মিয়ানমার আরাকান আর্মি তাদের কে আটক করে নিয়ে যায়। তারমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছৈয়দুল বশর-(১৯) কে তারা পিটিয়ে ও হাতের বাহু এবং গাড়ে গুলি করে হত্যা করে।

আরাকান আর্মির হাতে অপহরণের শিকার চার বাংলাদেশি যুবকরা হলো পালংখালী সীমান্ত ঘেঁষা  আঞ্জুমান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনজুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপ (২০) একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে লুৎফুর রহমান (২২), জিয়াবুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে ইউছুফ জালাল (১৯)।

ছৈয়দুল বশরের পারিবারিক সূত্র জানায়, নাফ নদী থেকে তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার  পর মরদেহটি নাফ নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সরকারি কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জানান, পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে ধরে নিয়ে যাবার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কারা তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি উখিয়া
ওসি উখিয়া

উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফ হোসাইন জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম মরদেহটি উদ্ধার করেন।

ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, নিহত জেলে ছৈয়দুল বশর বলে তার আত্মীয়-স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছে। মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

একজনের লাশ উদ্ধার

পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

সময় ০৯:১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তের নাফ নদী থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। তার মধ্যে এক জেলের মরদেহ নাফ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জেলে আঞ্জুমান পাড়া এলাকার মৃত: মো. হোসেনের ছেলে ছৈয়দুল বশর (১৯) বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীতে স্থানীয় জেলেরা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানিয়েছে, গত ১৪  নভেম্বর বাংলাদেশি ৫ জেলে সীমান্তের নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকে মিয়ানমার আরাকান আর্মি তাদের কে আটক করে নিয়ে যায়। তারমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছৈয়দুল বশর-(১৯) কে তারা পিটিয়ে ও হাতের বাহু এবং গাড়ে গুলি করে হত্যা করে।

আরাকান আর্মির হাতে অপহরণের শিকার চার বাংলাদেশি যুবকরা হলো পালংখালী সীমান্ত ঘেঁষা  আঞ্জুমান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনজুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপ (২০) একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে লুৎফুর রহমান (২২), জিয়াবুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে ইউছুফ জালাল (১৯)।

ছৈয়দুল বশরের পারিবারিক সূত্র জানায়, নাফ নদী থেকে তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার  পর মরদেহটি নাফ নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সরকারি কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জানান, পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে ধরে নিয়ে যাবার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কারা তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি উখিয়া
ওসি উখিয়া

উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফ হোসাইন জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম মরদেহটি উদ্ধার করেন।

ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, নিহত জেলে ছৈয়দুল বশর বলে তার আত্মীয়-স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছে। মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।