ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্ন তারকা নিয়ে চিল মুডেই আছেন মাগা প্রেসিডেন্ট!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 21

মাগা প্রেসিডেন্ট পর্ন তারকা

ডোনাল্ড ট্রাম্প যাকে সবাই এক নামেই চিনেন। তিনি সব কিছুতেই যেন ভাবলেশহীন। তবে তিনি যুদ্ধবাজ নন। তাই শত ব্যক্তিগত কেলেংকারি নিয়েও তিনি পৃথিবীর সবচে শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণের আগেই কপালে জুটতে পারে সাজা। কিন্তু এসব নিয়ে ভাবেন না, তিনি মূলত চিল মুডেই আছেন। মাগার প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি মোটেও বিচলিত নন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৭ শীত পার করে আসা  চির বসন্তের ডোনাল্ড ট্রাম্প গদিতে বসার আগেই তাকে চাপে রাখার অপকৌশল হিসাবেই এটাকে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প শিবিরের লোকজন। মূলত একজন পর্ন তারকাকে নিয়ে মোটেও চিন্তার ভাজ নেই ‘মাগা’র প্রেসিডেন্টের। তিনি তার মতোই আছেন, চিল মুডেই আছেন। তবে তিনি নিজের কাজটা ভালো জানেন।
কিন্তু পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার মতো ছোট বিষয়কে আমেরিকানরা খুব হালকাভাবেই নিচ্ছেন। কারণ হিসাবে তারা মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আর যাই করুন না কেন, আগামী ৪ বছর আমেরিকাকে পৃথিবীর বুকে আরো শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করবেন। এটাই মার্কিনীদের প্রত্যাশা।

যদিও বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য দুঃখ আসতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে অন্যরকম, মোটেও উদারপন্থী নন।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার এক মামলায় ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত। তবে তাঁকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল শুক্রবার একজন বিচারক জানিয়েছেন।

যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়াসংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।

বিচারক হুয়ান মারচ্যানের ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ দৃশ্য বিরল। কেননা, ট্রাম্পের আগে দেশটির সাবেক কিংবা ক্ষমতাসীন একজন প্রেসিডেন্টও কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি।

বিচারক তাঁর আদেশে বলেন, ১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে। ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। তাঁকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেওয়া হবে; যার অর্থ তাঁকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।’

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা
ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা

এমন রায়ে ট্রাম্প আপিল করার সুযোগ পাবেন। বিচারক বলেন, আপিলের বিষয়ে ট্রাম্প তাঁর অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছেন।

১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে। ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা নেই। তাঁকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ দেওয়া হবে; যার অর্থ, তাঁকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না।

এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, ‘এ মামলায় ট্রাম্পের কোনো কারাদণ্ড হওয়া উচিত নয়। বেআইনি এ মামলা কখনো বিবেচনা করারই উপযুক্ত নয়। মামলাটি অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া—এটির সাংবিধানিক দাবি।’

ট্রাম্পের বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিরা যুক্তি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে মামলাটি জিইয়ে রাখা হলে তা তাঁর শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করবে।

তবে বিচারক এ যুক্তি নাকচ করে বলেন, জুরির রায় পাশ কাটালে তা আইনের শাসন অপরিমেয়ভাবে ক্ষুণ্ন করবে।

প্রসঙ্গত, মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, এ জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প। সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ঘুষ দেওয়ার সেই তথ্য তিনি তাঁর ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন।

অবশ্য ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন এ সবকিছু করেছে।

ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার শুরু হয়। মামলায় গত বছরের মে মাসে ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারকেরা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ঘোষণা করার কথা ছিল গত বছরের ১১ জুলাই। কিন্তু কয়েক দফা তা পেছানো হয়। গত বৃহস্পতিবার বিচারক মারচ্যান বলেন, ট্রাম্প গত আগস্টে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ নির্বাচনের পর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

শেয়ার করুন

পর্ন তারকা নিয়ে চিল মুডেই আছেন মাগা প্রেসিডেন্ট!

সময় ১১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্প যাকে সবাই এক নামেই চিনেন। তিনি সব কিছুতেই যেন ভাবলেশহীন। তবে তিনি যুদ্ধবাজ নন। তাই শত ব্যক্তিগত কেলেংকারি নিয়েও তিনি পৃথিবীর সবচে শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণের আগেই কপালে জুটতে পারে সাজা। কিন্তু এসব নিয়ে ভাবেন না, তিনি মূলত চিল মুডেই আছেন। মাগার প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি মোটেও বিচলিত নন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭৭ শীত পার করে আসা  চির বসন্তের ডোনাল্ড ট্রাম্প গদিতে বসার আগেই তাকে চাপে রাখার অপকৌশল হিসাবেই এটাকে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প শিবিরের লোকজন। মূলত একজন পর্ন তারকাকে নিয়ে মোটেও চিন্তার ভাজ নেই ‘মাগা’র প্রেসিডেন্টের। তিনি তার মতোই আছেন, চিল মুডেই আছেন। তবে তিনি নিজের কাজটা ভালো জানেন।
কিন্তু পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার মতো ছোট বিষয়কে আমেরিকানরা খুব হালকাভাবেই নিচ্ছেন। কারণ হিসাবে তারা মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আর যাই করুন না কেন, আগামী ৪ বছর আমেরিকাকে পৃথিবীর বুকে আরো শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করবেন। এটাই মার্কিনীদের প্রত্যাশা।

যদিও বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য দুঃখ আসতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে অন্যরকম, মোটেও উদারপন্থী নন।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার এক মামলায় ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত। তবে তাঁকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল শুক্রবার একজন বিচারক জানিয়েছেন।

যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়াসংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।

বিচারক হুয়ান মারচ্যানের ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ দৃশ্য বিরল। কেননা, ট্রাম্পের আগে দেশটির সাবেক কিংবা ক্ষমতাসীন একজন প্রেসিডেন্টও কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি।

বিচারক তাঁর আদেশে বলেন, ১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে। ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। তাঁকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেওয়া হবে; যার অর্থ তাঁকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।’

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা
ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা

এমন রায়ে ট্রাম্প আপিল করার সুযোগ পাবেন। বিচারক বলেন, আপিলের বিষয়ে ট্রাম্প তাঁর অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছেন।

১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে। ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা নেই। তাঁকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ দেওয়া হবে; যার অর্থ, তাঁকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না।

এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, ‘এ মামলায় ট্রাম্পের কোনো কারাদণ্ড হওয়া উচিত নয়। বেআইনি এ মামলা কখনো বিবেচনা করারই উপযুক্ত নয়। মামলাটি অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া—এটির সাংবিধানিক দাবি।’

ট্রাম্পের বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিরা যুক্তি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে মামলাটি জিইয়ে রাখা হলে তা তাঁর শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করবে।

তবে বিচারক এ যুক্তি নাকচ করে বলেন, জুরির রায় পাশ কাটালে তা আইনের শাসন অপরিমেয়ভাবে ক্ষুণ্ন করবে।

প্রসঙ্গত, মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, এ জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প। সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ঘুষ দেওয়ার সেই তথ্য তিনি তাঁর ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন।

অবশ্য ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন এ সবকিছু করেছে।

ট্রাম্পই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার শুরু হয়। মামলায় গত বছরের মে মাসে ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারকেরা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ঘোষণা করার কথা ছিল গত বছরের ১১ জুলাই। কিন্তু কয়েক দফা তা পেছানো হয়। গত বৃহস্পতিবার বিচারক মারচ্যান বলেন, ট্রাম্প গত আগস্টে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ নির্বাচনের পর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।