পর্তুগালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও বাংলা প্রেসক্লাবের শুভেচ্ছা বিনিময়
- সময় ১০:৫৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 34
৭ ডিসেম্বর, রবিবার পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ স্বেচ্ছাসেবক দল পর্তুগাল শাখা এবং পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটির মধ্যে এক শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পর্তুগাল জাতীয়তাবাদ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মুকিতুর রহমান চৌধুরী। সদস্য সচিব মো. সুজন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
মুকিতুর রহমান চৌধুরী বলেন, “৫ আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এখন গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে প্রবাসীদের অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবক দল।”
পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রনি মোহাম্মদ বলেন, “প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রাজনীতির মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা করলে গুণগত পরিবর্তন আসবে।”
যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে রাজনীতি করি, ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়। প্রবাসীদের উন্নয়নে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করে যাবে।”
পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ (প্রিন্স) বলেন, “কমিউনিটির উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যক্রম প্রবাসীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম নয়ন সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা না করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।”
সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সমির দেবনাথ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ স্বেচ্ছাসেবক দল পর্তুগাল শাখার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. আমান, মো. সুয়েব চৌধুরী, মো. জয়নুল টিপু, মো. ইমন, মো. ইমরান, মো. শাকিল আহমেদ, শাওন আহমদ, ফাহিম আহমদ, মো. নাজমুল হাসান, মো. মুকিত এবং মো. আরশ আলী।
সভায় প্রবাসীদের উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার বন্ধন আরো সুদৃঢ় করার প্রত্যয় নিয়ে সভার সমাপ্তি হয়।