০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন

হাফিজ আল আসাদ, পর্তুগাল লিসবন থেকে
  • সময় ১১:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 106

পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন

পর্তুগালের জাতীয় সংসদে আস্থা ভোটে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো সরকারের পতন হয়েছে। ১১ মার্চ সংসদে দীর্ঘ বিতর্ক এবং বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনার পর সর্বোচ্চ ভোটে এই সরকারের উপর অনাস্থা স্থাপন করে সংসদের বেশিরভাগ দলগুলো।

পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসা থেকে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সংসদের বিভিন্ন দল।

এছাড়া সংসদের বিভিন্ন দলগুলো অভিযোগ করে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেননি। এমনকি দুটি দলের ডাকা অনাস্থা প্রস্তাবে প্রধান বিরোধী দল সরকারকে সমর্থন করলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যথাযথ ব্যাখ্যা না পাওয়ার অভিযোগে সরকারের ডাকা আস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট প্রদান করে।

জাতীয় সংসদে সরকারের আনা আস্থা প্রস্তাবে বিরোধী দলের সমর্থন পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু প্রধান বিরোধীদল সোসালিস্ট পার্টির সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানের জন্য ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় মেয়াদ পূর্ণ করার ক্ষমতা হারান ক্ষমতাসীন এডি সরকার।

পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন
পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন

বিরোধী দল সোশ্যালিস্ট পার্টিসহ শেগা, ব্লক এস্কেরদা, পিসিপি, লিব্রে এবং পান এই আস্থা ভোটের বিপক্ষে এবং পিএসডি , সিডিএস ও ইএল সরকারের পক্ষে ভোট প্রদান করে।

সরকার পতনের ফলে পাবলিক সেক্টরে কাজের ধীরগতি নেমে আসবে এর মাধ্যমে পর্তুগালে বসবাসকারী অভিবাসীরা তাদের বসবাস অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও দীর্ঘসূত্র তা আরও দীর্ঘ হবে। তাছাড়া অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক সমাধান পেতে অপেক্ষা করতে হবে জটিলতায় পড়াও অভিবাসীদের। এমনকি পর্তুগিজরাও রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

পরবর্তী করণীয় হিসেবে আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংসদের সকল দল গুলোরসঙ্গে আলোচনা করে একটি নতুন সরকার গঠন করতে পারেন অথবা তিনি নতুন নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন।

জানা গেছে, বুধবার থেকে রাষ্ট্রপতি সব দলগুলোরসঙ্গে বৈঠকে বসবেন। যদিও ইতঃপূর্বে রাষ্ট্রপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি সরকারের পতন হলে ১১ থেকে ১৮ মে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবেন।

শেয়ার করুন

পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন

সময় ১১:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পর্তুগালের জাতীয় সংসদে আস্থা ভোটে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো সরকারের পতন হয়েছে। ১১ মার্চ সংসদে দীর্ঘ বিতর্ক এবং বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনার পর সর্বোচ্চ ভোটে এই সরকারের উপর অনাস্থা স্থাপন করে সংসদের বেশিরভাগ দলগুলো।

পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রোর বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসা থেকে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সংসদের বিভিন্ন দল।

এছাড়া সংসদের বিভিন্ন দলগুলো অভিযোগ করে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেননি। এমনকি দুটি দলের ডাকা অনাস্থা প্রস্তাবে প্রধান বিরোধী দল সরকারকে সমর্থন করলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যথাযথ ব্যাখ্যা না পাওয়ার অভিযোগে সরকারের ডাকা আস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট প্রদান করে।

জাতীয় সংসদে সরকারের আনা আস্থা প্রস্তাবে বিরোধী দলের সমর্থন পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু প্রধান বিরোধীদল সোসালিস্ট পার্টির সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানের জন্য ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় মেয়াদ পূর্ণ করার ক্ষমতা হারান ক্ষমতাসীন এডি সরকার।

পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন
পর্তুগালে মন্টিনেগ্রো সরকারের পতন

বিরোধী দল সোশ্যালিস্ট পার্টিসহ শেগা, ব্লক এস্কেরদা, পিসিপি, লিব্রে এবং পান এই আস্থা ভোটের বিপক্ষে এবং পিএসডি , সিডিএস ও ইএল সরকারের পক্ষে ভোট প্রদান করে।

সরকার পতনের ফলে পাবলিক সেক্টরে কাজের ধীরগতি নেমে আসবে এর মাধ্যমে পর্তুগালে বসবাসকারী অভিবাসীরা তাদের বসবাস অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও দীর্ঘসূত্র তা আরও দীর্ঘ হবে। তাছাড়া অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক সমাধান পেতে অপেক্ষা করতে হবে জটিলতায় পড়াও অভিবাসীদের। এমনকি পর্তুগিজরাও রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

পরবর্তী করণীয় হিসেবে আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংসদের সকল দল গুলোরসঙ্গে আলোচনা করে একটি নতুন সরকার গঠন করতে পারেন অথবা তিনি নতুন নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন।

জানা গেছে, বুধবার থেকে রাষ্ট্রপতি সব দলগুলোরসঙ্গে বৈঠকে বসবেন। যদিও ইতঃপূর্বে রাষ্ট্রপতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি সরকারের পতন হলে ১১ থেকে ১৮ মে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবেন।