ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে বাংলাদেশি কমিউনিটির বৃহৎ বিজয় উদযাপন

হাফিজ আল আসাদ, পর্তুগাল
  • সময় ০৭:০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 47

পর্তুগালে বাঙালি কমিউনিটি

বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে পর্তুগালের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো মহান বিজয় দিবস উৎসব। ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই উৎসবে নৃত্য, গান, কবিতা আবৃত্তি এবং স্টলভিত্তিক নানা আয়োজন ছিলো।

বিজয় উৎসবের উদ্বোধন

গত ২৯ ডিসেম্বর, রবিবার সকাল ১১টায় লিসবনের মার্তিম মনিজ পার্কে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওর-এর প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়েলো।

বিকেল ২টায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রনি হোসাইন এবং আব্দুল হাকিম মিনহাজ। বিজয় উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রানা তাসলিম উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিসবন মিউনিসিপ্যাল এসেম্বলি মেম্বার এবং সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট ড. জোসে লেইতাও এবং আলকান্তারার প্রেসিডেন্ট জনাব ডেভিড আমাদো। কমিউনিটি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন এবং উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন।

দ্বিতীয় পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো সোনা পাখি খ্যাত শিল্পী ওয়াহিদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। স্থানীয় শিল্পীরাও বাংলা গানের মাধ্যমে উৎসবে প্রাণবন্ততা যোগান।

পর্তুগিজদের প্রশংসা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

দুটি পর্তুগিজ জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় উৎসবটি কভার করে এবং সংবাদ সম্প্রচার করে। পর্তুগিজরা মেলার স্টল ঘুরে দেখেন, দেশীয় খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন এবং আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা এ ধরনের আয়োজন প্রতি বছর করার জন্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

Victory Day in Portugal 01
বাঙালি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ

কমিউনিটি নেতাদের বক্তব্য

ড. মিগেল কোয়েলো বলেন, “বাংলাদেশিরা তাদের স্বাধীনতার মাসকে সুন্দরভাবে উদযাপন করছে, আমরা তাদের পাশে থাকতে পেরে আনন্দিত।”

রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, “এটি পর্তুগালের ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি আয়োজন। আমি আশা করি, আগামীতে আমাদের নতুন প্রজন্ম এ ধারা অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে।”

বিজয় মেলার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্টল

মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলে দেশীয় পিঠা, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য পণ্যের সমারোহ ছিলো। স্টলগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরে।

আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সদস্যরা

বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন রনি হোসাইন, আব্দুল হাকিম মিনহাজ, মাসুম আহমদ, শহীদ আহমদ (প্রিন্স), হাফিজ আল আসাদ, শাকির হাসান, এনামুল হক, আশরাফ হোসেন, ইকবাল আহমদ কাঞ্চন, জসিম উদ্দিন, শিমুল সরকার, আমিরুল ইসলাম নয়ন, ছানি সুমন, নাহাজ, সাইফুল হক, আজমল আহমেদ, শামসুজ্জামান জামান, শামসুল হক, স্বপনীল নিশান এবং শাহীন আহমদ।

মিডিয়া পার্টনার

বিজয় উৎসবের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব

বিজয় উৎসবের এই আয়োজন পর্তুগালে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

শেয়ার করুন

পর্তুগালে বাংলাদেশি কমিউনিটির বৃহৎ বিজয় উদযাপন

সময় ০৭:০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে পর্তুগালের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো মহান বিজয় দিবস উৎসব। ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই উৎসবে নৃত্য, গান, কবিতা আবৃত্তি এবং স্টলভিত্তিক নানা আয়োজন ছিলো।

বিজয় উৎসবের উদ্বোধন

গত ২৯ ডিসেম্বর, রবিবার সকাল ১১টায় লিসবনের মার্তিম মনিজ পার্কে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জুন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওর-এর প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়েলো।

বিকেল ২টায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রনি হোসাইন এবং আব্দুল হাকিম মিনহাজ। বিজয় উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রানা তাসলিম উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিসবন মিউনিসিপ্যাল এসেম্বলি মেম্বার এবং সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট ড. জোসে লেইতাও এবং আলকান্তারার প্রেসিডেন্ট জনাব ডেভিড আমাদো। কমিউনিটি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন এবং উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন।

দ্বিতীয় পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো সোনা পাখি খ্যাত শিল্পী ওয়াহিদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। স্থানীয় শিল্পীরাও বাংলা গানের মাধ্যমে উৎসবে প্রাণবন্ততা যোগান।

পর্তুগিজদের প্রশংসা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

দুটি পর্তুগিজ জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় উৎসবটি কভার করে এবং সংবাদ সম্প্রচার করে। পর্তুগিজরা মেলার স্টল ঘুরে দেখেন, দেশীয় খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন এবং আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা এ ধরনের আয়োজন প্রতি বছর করার জন্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

Victory Day in Portugal 01
বাঙালি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ

কমিউনিটি নেতাদের বক্তব্য

ড. মিগেল কোয়েলো বলেন, “বাংলাদেশিরা তাদের স্বাধীনতার মাসকে সুন্দরভাবে উদযাপন করছে, আমরা তাদের পাশে থাকতে পেরে আনন্দিত।”

রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, “এটি পর্তুগালের ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি আয়োজন। আমি আশা করি, আগামীতে আমাদের নতুন প্রজন্ম এ ধারা অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে।”

বিজয় মেলার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্টল

মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলে দেশীয় পিঠা, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য পণ্যের সমারোহ ছিলো। স্টলগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরে।

আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সদস্যরা

বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন রনি হোসাইন, আব্দুল হাকিম মিনহাজ, মাসুম আহমদ, শহীদ আহমদ (প্রিন্স), হাফিজ আল আসাদ, শাকির হাসান, এনামুল হক, আশরাফ হোসেন, ইকবাল আহমদ কাঞ্চন, জসিম উদ্দিন, শিমুল সরকার, আমিরুল ইসলাম নয়ন, ছানি সুমন, নাহাজ, সাইফুল হক, আজমল আহমেদ, শামসুজ্জামান জামান, শামসুল হক, স্বপনীল নিশান এবং শাহীন আহমদ।

মিডিয়া পার্টনার

বিজয় উৎসবের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব

বিজয় উৎসবের এই আয়োজন পর্তুগালে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।