ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তগালে অধিকার আদায়ের অভিবাসীদের বড় সমাবেশ

পর্তুগালের লিসবন থেকে হাফিজ আল আসাদ
  • সময় ০৪:১৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / 272

Portugal

সহজ অভিবাসন নীতির দাবিতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের ৫৭টি সংগঠন একযোগে সমাবেশ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

দেশটির জাতীয় সংসদের সামনে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে যেখানে যোগ দেয় বাংলাদেশ সহ প্রায় ৫৮ টি সংগঠন। সমাবেশের শুরুতেই বক্তব্য দেন সলিডারিটি ইমিগ্র্যান্টের প্রেসিডেন্ট টেমোটিও মাসেডো বলেন এই সরকারের নতুন আইন অভিবাসীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। নতুন আগত অভিবাসীরা তাদের মর্যাদা হারিয়েছে এবং পরবর্তীতে যারা পর্তুগালে আগমন করবেন তাদের জন্য একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। এই নতুন অভিবাসন পরিকল্পনায় মানবপাচার চক্র লাভবান হচ্ছে। অচিরেই এই নীতি পরিবর্তন করা উচিত।

তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমান অভিবাসন অধিদপ্তর আইমাকে শক্তিশালী না করে স্বল্পমেয়াদী সমস্যা সমাধানের কাজ করছে। যা এখানে অবস্থানরত অভিবাসীদের স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত করছে। এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণ রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন করতে না পারায় ভ্রমণ প্রতিবন্ধকতাসহ নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন অভিবাসীরা। অথচ এই ব্যাপারে অভিবাসন অধিদপ্তর আইমা তেমন কোন সাড়া দিচ্ছে না।

নতুনরা এই অভিবাসন নীতি পরিবর্তনে কারণে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিও বিপাকে পড়েছেন। মোঃ সিফাত নামে এক প্রবাসীর সাথে তিনি কথা হলে তিনি জানান ভ্রমণ ভিসা নিয়ে পর্তুগাল এসেছিলাম সহজ অভিভাষণ নীতির আশায়। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে অভিবাসন অধিদপ্তরের নিকট আবেদন (আইমা এন্ট্রি) করতে পারেননি। বর্তমানে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারের ভয় এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।

চলতি বছরের ৩ জুন হঠাৎ করে অভিবাসীদের সহজ শর্তে নিয়মিত হওয়ার আইন ৮৮ এবং ৮৯-এ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তা ছাড়া, সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতি অভিবাসীদের জন্য অমানবিক বা বৈষম্যস্বরূপ বলে উল্লেখ করেছে অভিবাসীদের সংগঠনগুলো।

অভিবাসীদের সংগঠনগুলো গত ১৩ জুনের পর থেকে সরকারের এই কঠোর অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে সংসদের সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অভিবাসীদের যৌক্তিক দাবি আদায় নিয়ে বৈঠক করে আসছেন। সকল বাম দলগুলোও তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। সমাবেশের শেষে ঘোষণা দেন আগামী ৯ ই নভেম্বর, লিসবন এবং পোর্তোতে বড়  বিক্ষোভ সমাবেশ।

শেয়ার করুন

পর্তগালে অধিকার আদায়ের অভিবাসীদের বড় সমাবেশ

সময় ০৪:১৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

সহজ অভিবাসন নীতির দাবিতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের ৫৭টি সংগঠন একযোগে সমাবেশ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

দেশটির জাতীয় সংসদের সামনে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে যেখানে যোগ দেয় বাংলাদেশ সহ প্রায় ৫৮ টি সংগঠন। সমাবেশের শুরুতেই বক্তব্য দেন সলিডারিটি ইমিগ্র্যান্টের প্রেসিডেন্ট টেমোটিও মাসেডো বলেন এই সরকারের নতুন আইন অভিবাসীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। নতুন আগত অভিবাসীরা তাদের মর্যাদা হারিয়েছে এবং পরবর্তীতে যারা পর্তুগালে আগমন করবেন তাদের জন্য একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। এই নতুন অভিবাসন পরিকল্পনায় মানবপাচার চক্র লাভবান হচ্ছে। অচিরেই এই নীতি পরিবর্তন করা উচিত।

তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমান অভিবাসন অধিদপ্তর আইমাকে শক্তিশালী না করে স্বল্পমেয়াদী সমস্যা সমাধানের কাজ করছে। যা এখানে অবস্থানরত অভিবাসীদের স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত করছে। এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণ রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন করতে না পারায় ভ্রমণ প্রতিবন্ধকতাসহ নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন অভিবাসীরা। অথচ এই ব্যাপারে অভিবাসন অধিদপ্তর আইমা তেমন কোন সাড়া দিচ্ছে না।

নতুনরা এই অভিবাসন নীতি পরিবর্তনে কারণে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিও বিপাকে পড়েছেন। মোঃ সিফাত নামে এক প্রবাসীর সাথে তিনি কথা হলে তিনি জানান ভ্রমণ ভিসা নিয়ে পর্তুগাল এসেছিলাম সহজ অভিভাষণ নীতির আশায়। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে অভিবাসন অধিদপ্তরের নিকট আবেদন (আইমা এন্ট্রি) করতে পারেননি। বর্তমানে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তারের ভয় এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।

চলতি বছরের ৩ জুন হঠাৎ করে অভিবাসীদের সহজ শর্তে নিয়মিত হওয়ার আইন ৮৮ এবং ৮৯-এ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তা ছাড়া, সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতি অভিবাসীদের জন্য অমানবিক বা বৈষম্যস্বরূপ বলে উল্লেখ করেছে অভিবাসীদের সংগঠনগুলো।

অভিবাসীদের সংগঠনগুলো গত ১৩ জুনের পর থেকে সরকারের এই কঠোর অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে সংসদের সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অভিবাসীদের যৌক্তিক দাবি আদায় নিয়ে বৈঠক করে আসছেন। সকল বাম দলগুলোও তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। সমাবেশের শেষে ঘোষণা দেন আগামী ৯ ই নভেম্বর, লিসবন এবং পোর্তোতে বড়  বিক্ষোভ সমাবেশ।