ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভারতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি

নৌযানে পেছনে হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৪:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 28

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৭৯ বাংলাদেশি

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ দুটি ট্রলারের ছবি প্রকাশ হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় কোস্ট গার্ড তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে ৩টি ছবি প্রকাশ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ‘ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড’ পেজের এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে দুটি ট্রলারসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’

পোস্ট করা ছবির একটিতে দেখা যায়, আটক ট্রলারের নাবিকরা নৌযানের ডেকের ওপর মাথার পেছনে হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। ভারতীয় কোস্ট গার্ডরা নাবিকদের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।

অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, সাগরে বাংলাদেশের দুটি ট্রলার চলছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এফবি মেঘনা-৫ ও এফবি লায়লা-২ নামের দুটি ট্রলার ভারতীয় কোস্ট গার্ড আটক করে।

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি

ভারতীয় কোস্টগার্ডের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা বাংলাদেশি নাবিক ও ট্রলারের ছবি।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। এ সময় ভারতীয় কোস্ট গার্ড ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্ট গার্ড আটক করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যেন তাদের উদ্ধার করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানিয়েছি আমরা।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, মৎস্য আহরণের কাজে ট্রলার দুটি আমাদের সমুদ্রসীমার কাছেই নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় কোস্ট গার্ড নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বাংলাদেশের ৭৮ জন জেলেকে ধরে নিয়েছে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড এমন সংবাদ গণমাধ্যমে আসে।  আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা রেখার (আইএমবিএল) কাছে ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে দুটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয়রা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘অমোঘ’ নিয়মিত টহলের সময় দুটি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫ ’ আটক করে। জাহাজ দুটিতে যথাক্রমে ৪১ ও ৩৭ জন জেলে ছিলেন। প্রায় ১৬০ টন মাছ ধরেছেন তাঁরা।

পারাদ্বীপে অবস্থানরত কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল এবং ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরছিল। ভারতের ‘মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৮১ ’-এর অধীনে মামলা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পারাদ্বীপ বন্দরে জাহাজ দুটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জগৎসিংহপুরের পুলিশ সুপার ভাওয়ানি শংকর উদগত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিদেশি নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এত বেশি বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেনি কোস্টগার্ড।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ওডিশার ৪৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত। কোস্ট গার্ড ও সমুদ্র পুলিশ টহল বাড়িয়েছে।

শেয়ার করুন

ভারতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি

নৌযানে পেছনে হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন

সময় ০৪:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ দুটি ট্রলারের ছবি প্রকাশ হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় কোস্ট গার্ড তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে ৩টি ছবি প্রকাশ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ‘ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড’ পেজের এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে দুটি ট্রলারসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’

পোস্ট করা ছবির একটিতে দেখা যায়, আটক ট্রলারের নাবিকরা নৌযানের ডেকের ওপর মাথার পেছনে হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। ভারতীয় কোস্ট গার্ডরা নাবিকদের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।

অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, সাগরে বাংলাদেশের দুটি ট্রলার চলছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এফবি মেঘনা-৫ ও এফবি লায়লা-২ নামের দুটি ট্রলার ভারতীয় কোস্ট গার্ড আটক করে।

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি

ভারতীয় কোস্টগার্ডের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা বাংলাদেশি নাবিক ও ট্রলারের ছবি।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। এ সময় ভারতীয় কোস্ট গার্ড ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্ট গার্ড আটক করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যেন তাদের উদ্ধার করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানিয়েছি আমরা।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, মৎস্য আহরণের কাজে ট্রলার দুটি আমাদের সমুদ্রসীমার কাছেই নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় কোস্ট গার্ড নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বাংলাদেশের ৭৮ জন জেলেকে ধরে নিয়েছে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড এমন সংবাদ গণমাধ্যমে আসে।  আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা রেখার (আইএমবিএল) কাছে ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে দুটি জাহাজও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয়রা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ ‘অমোঘ’ নিয়মিত টহলের সময় দুটি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫ ’ আটক করে। জাহাজ দুটিতে যথাক্রমে ৪১ ও ৩৭ জন জেলে ছিলেন। প্রায় ১৬০ টন মাছ ধরেছেন তাঁরা।

পারাদ্বীপে অবস্থানরত কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল এবং ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরছিল। ভারতের ‘মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৮১ ’-এর অধীনে মামলা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পারাদ্বীপ বন্দরে জাহাজ দুটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জগৎসিংহপুরের পুলিশ সুপার ভাওয়ানি শংকর উদগত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিদেশি নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এত বেশি বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেনি কোস্টগার্ড।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ওডিশার ৪৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে ভারত। কোস্ট গার্ড ও সমুদ্র পুলিশ টহল বাড়িয়েছে।