নোয়াখালীতে স্কুলছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার এক | Bangla Affairs
০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার এক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী
  • সময় ০৮:০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • / 24

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার এক

নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে স্কুলছাত্র আবদুল হামিদ রায়হান (১৬) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মারুফ হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করার পর নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মারুফ।

শুক্রবার বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন, জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য দাদপুর ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে বের হয় রায়হান। পরবর্তীতে রাতে আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন বিষয়টি নিয়ে রায়হানের ভাই হারুন অর রশিদ শান্ত তার ভাইয়ের সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে যেখানে একটা মোবাইল নাম্বার দেয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ নিজের পরিচয় গোপন রেখে শান্তের নাম্বারে কল দিয়ে ১৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে চৌমুহনী রেল লাইনে যেতে বলে। পরবর্তীতে ওই নাম্বারের সূত্র ধরে আসামি মারুফকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী সেফটিকট্যাংক থেকে রায়হানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে তারা দুই জন পার্শ্ববর্তী একটি জায়গায় গিয়ে নারিকেল খায়। পরবর্তীতে ওইস্থান থেকে ফিরে আসার সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে তাদের দুইজনের মধ্যে বাকবির্তক হয়। এর একপর্যায়ে মারুফ তার হাতে থাকা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে রায়হানের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে গভীররাতে মারুফ একা রায়হানের মৃতদেহ নিয়ে পাশ^বর্তী একটি সেফটি ট্যাংকের মধ্যে রেখে দেয়। এ ঘটনায় নিহত রায়হানের বাবা আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে মারুফের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার এক

সময় ০৮:০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে স্কুলছাত্র আবদুল হামিদ রায়হান (১৬) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মারুফ হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করার পর নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মারুফ।

শুক্রবার বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন, জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য দাদপুর ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে বের হয় রায়হান। পরবর্তীতে রাতে আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন বিষয়টি নিয়ে রায়হানের ভাই হারুন অর রশিদ শান্ত তার ভাইয়ের সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে যেখানে একটা মোবাইল নাম্বার দেয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারুফ নিজের পরিচয় গোপন রেখে শান্তের নাম্বারে কল দিয়ে ১৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে চৌমুহনী রেল লাইনে যেতে বলে। পরবর্তীতে ওই নাম্বারের সূত্র ধরে আসামি মারুফকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী সেফটিকট্যাংক থেকে রায়হানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার দিন রাতে তারা দুই জন পার্শ্ববর্তী একটি জায়গায় গিয়ে নারিকেল খায়। পরবর্তীতে ওইস্থান থেকে ফিরে আসার সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে তাদের দুইজনের মধ্যে বাকবির্তক হয়। এর একপর্যায়ে মারুফ তার হাতে থাকা ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে রায়হানের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে গভীররাতে মারুফ একা রায়হানের মৃতদেহ নিয়ে পাশ^বর্তী একটি সেফটি ট্যাংকের মধ্যে রেখে দেয়। এ ঘটনায় নিহত রায়হানের বাবা আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে মারুফের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।