০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেশার টাকার জন্য চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর
  • সময় ০২:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 36

নেশার টাকার জন্য চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই

নেশার টাকা জোগাড় করতে ফরিদপুরে অটোরিকশা চালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন মো. সুমন শেখ (২১) ও রেজাউল করিম মিন্টু (৪২)।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার সুমন শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার দিন সুমনসহ তিন জন ফরহাদের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে ফরহাদকে দুর্গাপুর এলাকায় নিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে তারা। সুমন শেখ নেশার টাকা জোগাড় করতেই ফরহাদকে হত্যা করে এবং অটোরিকশা ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক দুই জনকে গ্রেপ্তার পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মো. আব্দুল জলিল জানান, রাজবাড়ী জেলা সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে ফরহাদ প্রামাণিক গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতভর তাকে খুঁজতে থাকে পরিবার ও স্বজনরা।

পরদিন ৩১ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর কাচারীরটেক এলাকার একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ফরহাদের বাবা ছাত্তার প্রামাণিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিন্টুর ভাঙ্গারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। মিন্টুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শেয়ার করুন

নেশার টাকার জন্য চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই

সময় ০২:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নেশার টাকা জোগাড় করতে ফরিদপুরে অটোরিকশা চালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন মো. সুমন শেখ (২১) ও রেজাউল করিম মিন্টু (৪২)।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার সুমন শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যার দিন সুমনসহ তিন জন ফরহাদের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে ফরহাদকে দুর্গাপুর এলাকায় নিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে তারা। সুমন শেখ নেশার টাকা জোগাড় করতেই ফরহাদকে হত্যা করে এবং অটোরিকশা ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক দুই জনকে গ্রেপ্তার পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মো. আব্দুল জলিল জানান, রাজবাড়ী জেলা সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে ফরহাদ প্রামাণিক গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতভর তাকে খুঁজতে থাকে পরিবার ও স্বজনরা।

পরদিন ৩১ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর কাচারীরটেক এলাকার একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ফরহাদের বাবা ছাত্তার প্রামাণিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিন্টুর ভাঙ্গারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। মিন্টুকেও গ্রেপ্তার করা হয়।