নেত্রকোনায় শ্রমিকদলের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
- সময় ০৭:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
- / 16
নেত্রকোনা জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তা বন্ধে শ্রমিকদের আয়োজিত মানববন্ধনে হামলা হয়েছে।
এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিসহ ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দিকে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে পরিবহন শ্রমিকবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজনে এই ঘটনা হয়।
আহত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক নান্টু মিয়া, মিন্টু মিয়া, ট্রাক পরিবহন শ্রমিক আজগর আলী, নির্মাণ শ্রমিক সুজন মিয়া, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
উল্লেখ্য ,৪ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু স্বাক্ষরিত এক পত্রে অসাংগঠনিক ও সংগঠন বিরোধী কাজের অংশ হিসেবে স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, দখল ও হুমকি-ধমকিসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারিফুর রহমান রিপনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, বিভিন্ন পরিবহনের সাধারণ শ্রমিকেরা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। আয়োজক শ্রমিকেরা ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর সাথে সাথে অপরপক্ষ হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষ হাতাহাতিসহ সংঘর্ষে জড়ান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় উভয়পক্ষের ৮জন আহত হন।
জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক কার্যকারি সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের পরিবহন সেক্টর চাঁদাবাজ মুক্ত হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান রিপন স্থানীয় পরিবহন খাতের অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যান-বাহনে চাঁদাবাজি শুরু করেন। এতে আমরা শ্রমিকেরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। তার এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আমরা শ্রমিকেরা আজ জেলা প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করি। মানববন্ধন শুরু করার মূহুর্তে তারিফুর রহমান রিপনের লোকজন হামলা চালিয়ে আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় আমাদের লোকজন আহত হন।
সিনিয়র চালক সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ বলেন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান রিপন স্থানীয় পরিবহন খাতের অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যান-বাহনে চাঁদাবাজি শুরু করে। এতে শ্রমিকেরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।
অভিযুক্ত জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক তারিফুর রহমান রিপনের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ জানান, একদল শ্রমিক অপর গ্রুপের শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি,ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।