ময়মনসিংহে সড়ক দূর্ঘটনা
নেত্রকোনায় এক পরিবারের ৪ জন নিহত, শোকের মাতম
- সময় ০৬:০১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 30
ময়মনসিংহ সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল রাশিদ মিয়াসহ একই পরিবারের ৪ জনের। নিহতের পরিবারে স্বজনদের হারিয়ে চলছে শোকের ছায়া। আত্মীয়-স্বজন এসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন তাদের। সবার চোখে স্বজন হারানোর বেদনার অশ্রু। সমবেদনা জানাতে অগণিত মানুষের ঢল নেমেছে নিহতের বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত রাশিদ মিয়ার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। নিহতের দুই ছেলে ও তার মেয়েকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা এসেছেন। এসেছেন এলাকার পাশ্ববর্তী বিভিন্ন গ্ৰামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সবাই মিলে সান্ত্বনার কথা শুনাচ্ছেন শোকাহত পরিবারের সদস্যদের। নিহতের ছেলে, মেয়ে আত্মীয়-স্বজন সবার চোখে বেদনার অশ্রু ঝরছে। চারদিকে কান্নার আওয়াজ। অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিভাবে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাশিদ মিয়া গাজীপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। গ্ৰামের একটি পৈতৃক বাড়ি আছে যেখানে কোন ঘর পর্যন্ত নেই। বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বশুরের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি গাজীপুর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে গ্ৰামের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার সাতবেড়িকান্দা আসার জন্য রওয়ানা হন।তার সাথে ছিলেন স্ত্রী বকুলা আক্তার, শ্যালক বিদ্যা মিয়া ,শ্যালকের পুত্রবধূ সুলতানা।
সিএনজি ময়মনসিংহ পার হয়ে শম্ভুগঞ্জের গাছতলা এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুভর্তি ট্রাক এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রাশিদ মিয়া, তার স্ত্রী বকুলা আক্তার,তার শ্যালক বিদ্যা মিয়া,বিদ্যা মিয়ার পুত্রবধূ সুলতানা নিহত হন।
পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্ৰামের বাড়িতে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ দেখতে আসেননি। তাদের চাওয়া হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন কেউ ফিরে আসবেন না। সবাই যাতে দোয়া করেন তারা যেন জান্নাতে প্রবেশ করে।