ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে

সিনিয়র প্রতিবেদক, নেত্রকোনা
  • সময় ০৯:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 31

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে

নেত্রকোনার বারহাট্টায় সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাশকতার অভিযোগে মামলায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসাইন এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।এ রায়টি জানার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে অগণিত মানুষের ঢল নামে।

আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বারহাট্টা উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক কুমার সেন্টু, সাহতা ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান খান সুজাত, ওই ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আঙ্গুর, বাউসী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য পারভেজ মিয়াসহ মামলার মোট ১৩ আসামি।

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে
নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জেলার বারহাট্টার গোপালপুর এলাকায় বাউসী সড়কের পাশে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ছিল। বিএনপির এ সম্মেলনের মঞ্চে অভিযুক্ত আওয়ামী জেলা লীগের নেতা-কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেয় ও ব্যাপক ভাংচুর করে।এ ঘটনাযর অভিযোগ এনে ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ছাদেক মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলায় নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান লিটন, বারহাট্টা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল কবীর খোকন, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বারহাট্টা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনুল হক কাসেমসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আরো অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামি করা হয়।

জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রেমানন্দ চন্দ্র সরকার তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতোমধ্যে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করেন । তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

 

শেয়ার করুন

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে

সময় ০৯:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

নেত্রকোনার বারহাট্টায় সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাশকতার অভিযোগে মামলায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামাল হোসাইন এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।এ রায়টি জানার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে অগণিত মানুষের ঢল নামে।

আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলার বারহাট্টা উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক কুমার সেন্টু, সাহতা ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান খান সুজাত, ওই ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আঙ্গুর, বাউসী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য পারভেজ মিয়াসহ মামলার মোট ১৩ আসামি।

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে
নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জেলার বারহাট্টার গোপালপুর এলাকায় বাউসী সড়কের পাশে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ছিল। বিএনপির এ সম্মেলনের মঞ্চে অভিযুক্ত আওয়ামী জেলা লীগের নেতা-কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেয় ও ব্যাপক ভাংচুর করে।এ ঘটনাযর অভিযোগ এনে ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ছাদেক মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলায় নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান লিটন, বারহাট্টা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল কবীর খোকন, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বারহাট্টা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনুল হক কাসেমসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আরো অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামি করা হয়।

জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রেমানন্দ চন্দ্র সরকার তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতোমধ্যে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক নামঞ্জুর করেন । তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।