ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীদের বিনোদনে বাধা দেওয়ায় সরকারের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৫:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 21

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ( ফাইল ফটো)

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত এক সপ্তাহে নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা বাধা দিয়েছে তাদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

কেউ নারীর অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এরই মধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন। শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সব শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। (আমরা এ বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি)।

 

গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলোর মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।

প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।

শেয়ার করুন

নারীদের বিনোদনে বাধা দেওয়ায় সরকারের উদ্বেগ

সময় ০৫:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত এক সপ্তাহে নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা বাধা দিয়েছে তাদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় সরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

কেউ নারীর অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এরই মধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন। শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সব শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। (আমরা এ বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি)।

 

গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলোর মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।

প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।