নারীদরে টয়লেট লাগানো হলো টাইমার !
- সময় ০৯:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
- / 265
চীনের জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র ইউনগাং গ্রোটোস গুহা কমপ্লেক্স। এটির অবস্থান উত্তর চীনের শানসি প্রদেশে। কমপ্লেক্সটি এক হাজার ৬০০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি হয়েছিল। এটিতে মধ্য ও পশ্চিম এশীয় এবং ইউরোপীয় শৈলীতে ৪৫টি প্রধান গুহা এবং ৫৯ হাজারের টিরও বেশি পাথরের ভাস্কর্য রয়েছে।
প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান। ইউনগাং গ্রোটোস একাডেমি অনুসারে গত বছর ৩ মিলিয়নেরও বেশি পর্যপক সেখানে ভ্রমন করেছে। যেখান থেকে তাদের আয় হয়েছে, ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান বা ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি ইউনগাং গ্রোটোস একাডেমি কর্তৃপক্ষ, তাদের কমপ্লেক্সে নারীদের টয়েলেটে টাইমার বসিয়েছে। টাইমারের মাধ্যমে বাইরে থেকে দেখা যাবে একজন মানুষ টয়লেটে কতটা সময় ব্যয় করছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। তারা প্রতিবেদনে দাবি করেছে, স¤প্রতি চীনের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম সাইটে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, নারীদের টয়লেটের সামনে টাইমার সেট করা হয়েছে। প্রতিটি টয়লেটে সময় গণনার জন্য ডিজিটাল কাউন্টার রয়েছে।
কোনো টয়লট যখন ফাঁকা থাকে তখন সেখানে সবুজ রঙের ‘খালি’ লেখা প্রদর্শন করছে। এ ছাড়া কেউ ভেতরে প্রবেশ করলে দরজার সামনের টাইমারে মিনিট ও সেকেন্ড উঠছে।
সেখানে বেড়াতে যাওয়া একজন পর্যটক বলেছেন, ‘প্রথমে আমি ভেবেছিলাম জনগণকে জনসাধারণের সম্পদের একচেটিয়া দখল এবং বিশ্রামাগারে খুব বেশি সময় কাটাতে বাঁধা দেওয়ার জন্য উন্নত এই টাইমারগুলো বসানো হয়েছে। কিন্তু আমিও কিছুটা বিব্রত বোধ করেছি, কারণ আমাকে দেখা হচ্ছে আমি কতক্ষণ আছি।’
টাইমার বসানোর পক্ষে অন্য একজন বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা ভালো। কিছু বয়স্ক লোক বিশ্রামাগারে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। কেউ কেউ সাহায্যের জন্য বলতেও পারে না। টাইমার অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানান দিবে।’
আরো একজন বলেছেন, ‘শৌচাগার ব্যবহার করা একটি খুব ব্যক্তিগত বিষয়। একজন নারী পর্যটক হিসেবে টাইমার বসানোটা আমার জন্য অসম্মানজনক।’ আবার কেউ বলেছেন, ‘যদি পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার না থাকে তবে আরো নির্মাণ করা উচিত।’
বৌদ্ধ গুহার একজন কর্মী বলেছেন, অনেক বেশি পর্যটক আসায় এই টাইমার লাগানো হয়েছে। তবে টয়লেট ব্যবহারের কোনো ধরা-বাঁধা সময় নেই। ইউনগাং বৌদ্ধ গুহার আরেক কর্মী নানচাং ইভিনিং নিউজ নামে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্রকে বলেন, চলতি বছরের ১ মে থেকে এটি চালু। নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
চীনের উত্তর-পশ্চিমে ভ্রমণ করার সময় পর্যটকদের প্রায়ই, ফ্লাশ করা যায় না এমন টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। যেখানে পরিষ্কার হওয়ার সুবিধা নেই এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি পার্টিশন বা দেয়ালও থাকে না।