ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাতের অনুমতিও চান

নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা

সিনিয়র প্রতিবেদক, কক্সবাজার
  • সময় ০৯:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 34

নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা

দীর্ঘ আট বছর পর টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পেলেও সম্পূর্ণ নদীতে অনুমতি না মেলায় হতাশ জেলেরা। বর্তমানে শাহপরীর দ্বীপ থেকে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মাত্র সাত কিলোমিটার এলাকায় দিনের বেলায় মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং অংশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় স্থানীয় জেলেরা বিক্ষোভ করেছেন এবং কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করেন। রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পাওয়াতে হতাশা প্রকাশ করেছেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, দীর্ঘদিন মাছ ধরতে না পারায় তারা কঠিন সংকটে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না হলে তাদের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক হবে না। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, নাফ নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার হলেও মাত্র সাত কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

অনেক দেনদরবারের পর, হাইকোর্টে রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলেদের জন্য এই সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা
নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা

তবে, এই অনুমতি মাত্র তিন মাসের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই সময় শেষে সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, “প্রাথমিক অনুমতি পেয়ে জেলেরা কিছুটা খুশি। তবে রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে তাদের পোষাবে না, কারণ রাতে মাছ বেশি ধরা পড়ে।”

জেলেরা নাফ নদীর সম্পূর্ণ অংশে দিন-রাত নির্বিঘ্নে মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

রাতের অনুমতিও চান

নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা

সময় ০৯:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দীর্ঘ আট বছর পর টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পেলেও সম্পূর্ণ নদীতে অনুমতি না মেলায় হতাশ জেলেরা। বর্তমানে শাহপরীর দ্বীপ থেকে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মাত্র সাত কিলোমিটার এলাকায় দিনের বেলায় মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং অংশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় স্থানীয় জেলেরা বিক্ষোভ করেছেন এবং কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করেন। রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পাওয়াতে হতাশা প্রকাশ করেছেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, দীর্ঘদিন মাছ ধরতে না পারায় তারা কঠিন সংকটে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার না হলে তাদের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক হবে না। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, নাফ নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার হলেও মাত্র সাত কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

অনেক দেনদরবারের পর, হাইকোর্টে রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলেদের জন্য এই সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা
নাফ নদীতে আংশিক অনুমতি পেয়ে হতাশ জেলেরা

তবে, এই অনুমতি মাত্র তিন মাসের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই সময় শেষে সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, “প্রাথমিক অনুমতি পেয়ে জেলেরা কিছুটা খুশি। তবে রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে তাদের পোষাবে না, কারণ রাতে মাছ বেশি ধরা পড়ে।”

জেলেরা নাফ নদীর সম্পূর্ণ অংশে দিন-রাত নির্বিঘ্নে মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।