ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৪:২৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 27

বেগম খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুইয়া।

মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন, যার মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাও রয়েছেন, সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, মীর ময়নুল হক ও কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

এর আগে মামলার তিন আসামি—ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান—মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নাইকোর সঙ্গে করা অস্বচ্ছ চুক্তির অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করে। পরবর্তীতে, ২০০৮ সালের ৫ মে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রায় ১৩,৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

শেয়ার করুন

নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

সময় ০৪:২৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুইয়া।

মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন, যার মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাও রয়েছেন, সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, মীর ময়নুল হক ও কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

এর আগে মামলার তিন আসামি—ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান—মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নাইকোর সঙ্গে করা অস্বচ্ছ চুক্তির অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করে। পরবর্তীতে, ২০০৮ সালের ৫ মে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রায় ১৩,৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।