০২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে মাদ্রাসায় ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা

সিনিয়র প্রতিবেদক, নরসিংদী
  • সময় ১১:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 44

শিশু ধর্ষণ (প্রতীকি)

নরসিংদীতে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. সাইফুল ইসলাম (৫০) নামের একটি মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরীকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মামলার পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার তাঁকে আদালতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে শহরের গাবতলী এলাকার একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম কুমিল্লার জেলার মুরাদনগর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই শিশুকে শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের চেষ্টা করেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় শিশুটি ঘটনাটি মাদ্রাসার শিক্ষক সামসুল ইসলামকে জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরীকে ধরে গণপিটুনি দেন।

খবর পেয়ে থানা-পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার ওই নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে মামলা করলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা

মাহফুজুর রহমান ভূইয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে এলাকার উত্তেজিত জনতা মারধর করেন। পরে মাদ্রাসাটির মসজিদে আশ্রয় নেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।’

মাদ্রাসার শিক্ষক সামসুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি আমাদের কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করি। এরই মধ্যে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে ওই প্রহরীকে গণপিটুনি দিতে শুরু করে। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ হতে রাতেই মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

শেয়ার করুন

নরসিংদীতে মাদ্রাসায় ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা

সময় ১১:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

নরসিংদীতে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. সাইফুল ইসলাম (৫০) নামের একটি মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরীকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মামলার পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার তাঁকে আদালতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে শহরের গাবতলী এলাকার একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম কুমিল্লার জেলার মুরাদনগর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই শিশুকে শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের চেষ্টা করেন নিরাপত্তা প্রহরী মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় শিশুটি ঘটনাটি মাদ্রাসার শিক্ষক সামসুল ইসলামকে জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরীকে ধরে গণপিটুনি দেন।

খবর পেয়ে থানা-পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার ওই নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে মামলা করলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা

মাহফুজুর রহমান ভূইয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে এলাকার উত্তেজিত জনতা মারধর করেন। পরে মাদ্রাসাটির মসজিদে আশ্রয় নেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।’

মাদ্রাসার শিক্ষক সামসুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি আমাদের কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করি। এরই মধ্যে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে ওই প্রহরীকে গণপিটুনি দিতে শুরু করে। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ হতে রাতেই মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।