নতুন নেতৃত্বের পথে জাতীয় পার্টি | Bangla Affairs
০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন নেতৃত্বের পথে জাতীয় পার্টি

উৎপল দাস
  • সময় ০২:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / 196

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টির নতুন নেতৃত্ব আসছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে জাতীয় পার্টিতে পরিবর্তন হচ্ছে। বিষয়টি বাংলা অ্যাফেয়ার্স নিশ্চিত হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের থাকলেও মহাসচিব পদে পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র বলেছে, গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় জিএম কাদেরের উত্তরায় বাসায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলটির শীর্ষনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার , প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, মহাসচিব পদে পরিবর্তন করার জন্য আলোচনা হয়। আলোচনায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ অন্যান্যরা এ বি এম রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দিলেও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এই মুহুর্তে
দায়িত্ব নিতে গড়িমশি করেন।

এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার

রুহুল আমিন হাওলাদার ওই বৈঠকে বলেন, ‘এই মুহুর্তে দায়িত্ব নিয়ে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হতে চাই না। সোলজার যদি না থাকে সেনাপতি হয়ে লাভ কি? কারণ দলের ত্যাগী নেতারা কাজী ফিরোজ রশীদসহ অন্যান্য নেতারা দলের বাইরে। যাদের ওপর ভরসা করে দলের নেতৃত্ব সামনে নিয়ে নেয়া যায়, তারা তো আমাদের কাছে নেই। তাদেরকে দলে আনা এবং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, কুৎসা রটানো বন্ধ না করলে দায়িত্ব নেয়া যায় না।’

বৈঠকে বতর্মান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সে আলোচনায় অন্তর্বতীকালীন সরকারের মধ্যে গ্রুপিং, সমন্বয়কদের মধ্যে বিভাজন, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে বিভাজন বিষয়গুলো উঠে আসে।

সূত্র বলেছে, প্রায় এক মাস পর নতুন নেতৃত্ব জাতীয় পার্টি মাঠে নামতে পারে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট রাজৈনিতক পট পরিবর্তনের পরে জাতীয় পার্টিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ ১৫ বছর ধরে জাতীয় পার্টি আওয়ামী সরকারের সাহায্যকারী হিসাবে তল্পিবাহক ছিল। এরই জের ধরে জাতীয় পার্টির ওপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা সহ রাজনৈতিক দলগুলোর তোপের মুখে পরে এবং জাতীয় পার্টির অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। জাতীয় পার্টির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল মাসব্যাপী জেলা সফর ও বর্ধিত সভা। কিন্তু আন্দোলনকারীদের চাপে সেসব কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দলটির ওপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

নতুন নেতৃত্বের পথে জাতীয় পার্টি

সময় ০২:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় পার্টির নতুন নেতৃত্ব আসছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে জাতীয় পার্টিতে পরিবর্তন হচ্ছে। বিষয়টি বাংলা অ্যাফেয়ার্স নিশ্চিত হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের থাকলেও মহাসচিব পদে পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সূত্র বলেছে, গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় জিএম কাদেরের উত্তরায় বাসায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলটির শীর্ষনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার , প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, মহাসচিব পদে পরিবর্তন করার জন্য আলোচনা হয়। আলোচনায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ অন্যান্যরা এ বি এম রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দিলেও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এই মুহুর্তে
দায়িত্ব নিতে গড়িমশি করেন।

এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার

রুহুল আমিন হাওলাদার ওই বৈঠকে বলেন, ‘এই মুহুর্তে দায়িত্ব নিয়ে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হতে চাই না। সোলজার যদি না থাকে সেনাপতি হয়ে লাভ কি? কারণ দলের ত্যাগী নেতারা কাজী ফিরোজ রশীদসহ অন্যান্য নেতারা দলের বাইরে। যাদের ওপর ভরসা করে দলের নেতৃত্ব সামনে নিয়ে নেয়া যায়, তারা তো আমাদের কাছে নেই। তাদেরকে দলে আনা এবং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, কুৎসা রটানো বন্ধ না করলে দায়িত্ব নেয়া যায় না।’

বৈঠকে বতর্মান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সে আলোচনায় অন্তর্বতীকালীন সরকারের মধ্যে গ্রুপিং, সমন্বয়কদের মধ্যে বিভাজন, বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে বিভাজন বিষয়গুলো উঠে আসে।

সূত্র বলেছে, প্রায় এক মাস পর নতুন নেতৃত্ব জাতীয় পার্টি মাঠে নামতে পারে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট রাজৈনিতক পট পরিবর্তনের পরে জাতীয় পার্টিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ ১৫ বছর ধরে জাতীয় পার্টি আওয়ামী সরকারের সাহায্যকারী হিসাবে তল্পিবাহক ছিল। এরই জের ধরে জাতীয় পার্টির ওপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা সহ রাজনৈতিক দলগুলোর তোপের মুখে পরে এবং জাতীয় পার্টির অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। জাতীয় পার্টির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল মাসব্যাপী জেলা সফর ও বর্ধিত সভা। কিন্তু আন্দোলনকারীদের চাপে সেসব কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দলটির ওপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।