ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানমন্ডিতে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১১:২৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 48

ধানমন্ডিতে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসকের মৃত্যু

রাজধানীর ধানমন্ডিতে একে এম আব্দুর রশিদ (৮৫) নামের এক প্রবাসী চিকিৎসক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি-১৫ নম্বর এলাকায় পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে।

হাজারীবাগ থানাধীন ধানমন্ডি ১৫, এর ২৯৪/১ নিজস্ব ভবনের পঞ্চম তলার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন নিহত আব্দুর রশিদ। বাকি ফ্লোরগুলো ভাড়া দেওয়া। ভিকটিমের পরিবারের সবাই প্রবাসী।

আব্দুর রশিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শিক্ষার্থী বাধন বলেন, আমরা পাশের ভবন থেকে চিৎকার শুনে নিচে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থা বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, নিহতের মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ওই বাড়ি ও আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুজেটে তিন জনকে দেখা গেছে। তবে ভিকটিমের বাসা থেকে কোনও কিছু খোয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা যাচ্ছে। আসলে ঘটনাটা কি চুরির, নাকি পূর্বপরিল্পিত কোনও ঘটনা আছে– সেব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া ওই তিন ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

আব্দুর রশিদের স্ত্রী ভালো আছে, তার শরীরে কোনও আঘাতে চিহ্ন নেই এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাননি বলেও জানান ওসি।

শেয়ার করুন

ধানমন্ডিতে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসকের মৃত্যু

সময় ১১:২৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর ধানমন্ডিতে একে এম আব্দুর রশিদ (৮৫) নামের এক প্রবাসী চিকিৎসক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি-১৫ নম্বর এলাকায় পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে।

হাজারীবাগ থানাধীন ধানমন্ডি ১৫, এর ২৯৪/১ নিজস্ব ভবনের পঞ্চম তলার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন নিহত আব্দুর রশিদ। বাকি ফ্লোরগুলো ভাড়া দেওয়া। ভিকটিমের পরিবারের সবাই প্রবাসী।

আব্দুর রশিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শিক্ষার্থী বাধন বলেন, আমরা পাশের ভবন থেকে চিৎকার শুনে নিচে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থা বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, নিহতের মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ওই বাড়ি ও আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুজেটে তিন জনকে দেখা গেছে। তবে ভিকটিমের বাসা থেকে কোনও কিছু খোয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা যাচ্ছে। আসলে ঘটনাটা কি চুরির, নাকি পূর্বপরিল্পিত কোনও ঘটনা আছে– সেব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া ওই তিন ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

আব্দুর রশিদের স্ত্রী ভালো আছে, তার শরীরে কোনও আঘাতে চিহ্ন নেই এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাননি বলেও জানান ওসি।