০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলা: তদন্ত ১৫ আর বিচার ৯০ দিনের মধ্যে

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০৬:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 28

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলার তদন্ত ও বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিদ্যমান আইনে তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হচ্ছে এবং ধর্ষণের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

সম্প্রতি মাগুরায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

আইন উপদেষ্টা জানান, ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দীর্ঘদিন ধরে আইন সংশোধনের চিন্তা চলছিল। আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর দ্রুতই সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে।

নতুন সংশোধনীতে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। আগে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হতো, যা মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণ ছিল। এখন নতুন বিধান অনুযায়ী, যে কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্ব পাবেন, তাকেই নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা যাবে না।

এছাড়া, ধর্ষণের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ না হলেও সেই অজুহাতে কোনো আসামি জামিন পাবেন না। আগে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিনের সুযোগ ছিল। নতুন বিধানে বিচার প্রক্রিয়ায় গাফিলতি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হবে।

ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতার বিষয়েও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা না থাকায়, বিচারক চাইলে কেবল চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতেই মামলা গ্রহণ করতে পারবেন।

মাগুরার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “এই মামলার তদন্ত ও বিচার যেন বিন্দুমাত্র বিলম্ব না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।”

 

শেয়ার করুন

ধর্ষণ মামলা: তদন্ত ১৫ আর বিচার ৯০ দিনের মধ্যে

সময় ০৬:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলার তদন্ত ও বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিদ্যমান আইনে তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হচ্ছে এবং ধর্ষণের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

সম্প্রতি মাগুরায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

আইন উপদেষ্টা জানান, ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দীর্ঘদিন ধরে আইন সংশোধনের চিন্তা চলছিল। আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর দ্রুতই সংশোধনী চূড়ান্ত করা হবে।

নতুন সংশোধনীতে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। আগে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হতো, যা মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণ ছিল। এখন নতুন বিধান অনুযায়ী, যে কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্ব পাবেন, তাকেই নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা যাবে না।

এছাড়া, ধর্ষণের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ না হলেও সেই অজুহাতে কোনো আসামি জামিন পাবেন না। আগে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিনের সুযোগ ছিল। নতুন বিধানে বিচার প্রক্রিয়ায় গাফিলতি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হবে।

ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতার বিষয়েও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা না থাকায়, বিচারক চাইলে কেবল চিকিৎসা সনদের ভিত্তিতেই মামলা গ্রহণ করতে পারবেন।

মাগুরার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “এই মামলার তদন্ত ও বিচার যেন বিন্দুমাত্র বিলম্ব না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।”