০৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধ*র্ষণের দায়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য আবারও ধ*র্ষণ মামলার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাইবান্ধা
  • সময় ০৩:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 37

ধর্ষণ (প্রতীকী ছবি)

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আবদুল হান্নান মন্ডল নামের এক চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধ*র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত আবদুল হান্নান মন্ডলের (৬৫) বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার খামার বালুয়া গ্রামের। তিনি ওই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। এক সময় আবদুল হান্নান মন্ডল পুলিশের কনস্টেবলে পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ধ*র্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে তিনি তার পুলিশের চাকরি হারান। আবারও তিনি একই অপরাধে আসামি হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই হান্নান মন্ডল পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য স্থানীয় মাতব্বর ধর্ষণের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালিশ নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে তুলেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ভুক্তভোগীর পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গত ৯ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় আবদুল হান্নানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ি এলাকার প্রতিবেশী গৃহবধূর বাড়িতে নানা শ্বশুর হিসেবে যাতায়াত করতেন। হান্নান মন্ডল নানা প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই গৃহবধূর স্বামী কাজ করেন। গত ৭ মার্চ ওই গৃহবধূ ইফতার করে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতেছিলেন। এসময় আসামি আবদুল হান্নান মন্ডল অতর্কিতভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বোঝার আগেই ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধ*র্ষণ করে। ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মান্নান পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে চাপ দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ি থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

শেয়ার করুন

ধ*র্ষণের দায়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য আবারও ধ*র্ষণ মামলার আসামি

সময় ০৩:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আবদুল হান্নান মন্ডল নামের এক চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধ*র্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত আবদুল হান্নান মন্ডলের (৬৫) বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার খামার বালুয়া গ্রামের। তিনি ওই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। এক সময় আবদুল হান্নান মন্ডল পুলিশের কনস্টেবলে পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ধ*র্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে তিনি তার পুলিশের চাকরি হারান। আবারও তিনি একই অপরাধে আসামি হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই হান্নান মন্ডল পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য স্থানীয় মাতব্বর ধর্ষণের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক সালিশ নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে তুলেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ভুক্তভোগীর পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গত ৯ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় আবদুল হান্নানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ি এলাকার প্রতিবেশী গৃহবধূর বাড়িতে নানা শ্বশুর হিসেবে যাতায়াত করতেন। হান্নান মন্ডল নানা প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই গৃহবধূর স্বামী কাজ করেন। গত ৭ মার্চ ওই গৃহবধূ ইফতার করে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতেছিলেন। এসময় আসামি আবদুল হান্নান মন্ডল অতর্কিতভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বোঝার আগেই ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধ*র্ষণ করে। ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মান্নান পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীকে চাপ দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ি থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।