ধর্ষণের অভিযোগে কলকাতায় গ্রেপ্তার আ.লীগের চার নেতা
- সময় ০২:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 47
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অবস্থান করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। দেশ ছেড়ে ভারত গিয়ে শেষ রক্ষা হচ্ছে না অনেক নেতার। সেখানকার পুলিশদের গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। বাংলাদেশে মামলা নিয়ে ভারত চালিয়ে গিয়েও অনেকের শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
এরই মাঝে খবর এসেছে, ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের চার নেতা। ধর্ষণের অভিযোগে কলকাতার নিউ টাউন থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি সহ সিলেট আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্য দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।
কলকাতা, শিলং ও সিলেটের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ। এর পর রোববার রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।
শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের অবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু। সূত্রমতে, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ।
পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এর পর মামলার এজহারে নাম না থাকায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সংগঠিত বিপ্লব ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরদিনই সংসদ বিলুপ্ত করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সেই থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। তিনি চলে যাওয়ার পর অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভারতে গেছেন, তারা এখনো সেখানে রয়েছেন বলে একাধিক সমর্থিত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র: আজকের সিলেট