ধরা’র প্রতিবাদে চকরিয়া-লামা বাঁচাতে চান তারা
- সময় ১১:৩০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 77
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে পাহাড় কাটা, অবৈধ ইট ভাটা, বালু উত্তোলন, বনাঞ্চল উজাড়,,ম্যানগ্রোভ ধ্বংস ও তামাক চাষসহ নানামুখী পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড। এই অনৈতিক, অবৈধ ও পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদে সভা ও মানববন্ধন করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), চকরিয়া উপজেলা শাখা।
২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকাল ৪টায় চকরিয়া স্টেশনের জনতা শপিং সেন্টারের সামনে চকরিয়া প্রেসক্লাবের সবেক সভাপতি আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক এ,কে,এম বেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কক্সবাজার জেলা শাখা সভাপতি, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক রূপালী সৈকত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী।
এসময় বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা(ধরা), কক্সবাজার জেলা শাখার.সাধারণ সমপাদক কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের ( ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ জুবাইদুল হক, সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সদস্য ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি শাশামসুল আলম শ্রাবণ, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, কক্স টিভির সম্পাদক এ কে এম রিদুয়ানুল হক, কর্মনীড় নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহেনা বেগম, চকরিয়া লামা আলীকদম জীপ মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ কোম্পানি, চকরিয়া উপজেলা মহিলা ক্ষুদ্র শিল্প সমিতির সভাপতি রুনা আকতার, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফ আলী,সেইফ ওসান সিটি মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদা ইয়াছিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওমর ফারুখ, চকরিয়া সিটি হাসপাতালের প্রতিষ্টাটা ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবদুল গফুর মানিক,উপকূলীয় শিক্ষা মানবাধিকার স্বাস্থ্য পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার আইন বিষয়ক সম্পাদক এহেছান উদ্দীন মাসুম,চকরিয়া সাধারণ শিক্ষার্থী সংসদের উপদেষ্টা সাংবাদিক সাঈদী আকবর ফয়সাল,মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি এইচ এম রুহুল কাদের,নারী ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
মানববন্ধনে বক্তারা চকরিয়া ও পার্শ্ববর্তী লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটা, অবৈধ ইট ভাটা, বালু উত্তোলন, বনাঞ্চল উজাড়, তামাক চাষসহ নানামুখি পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে এইসব অনৈতিক, অবৈধ ও পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড বন্ধ না করলে, ভবিষ্যতে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাই পরিবেশ, বন বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি আহ্বান করছি, দেশের সম্পদ ও পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। আপনাদের কঠোর নজরদারি থাকলে এইসব কুকর্ম করার সাহস পাবে না পরিবেশ ধ্বংসকারীরা। উল্লেখ্য চকরিয়ার ২১ টি লামা ফাইতং এর ৩২ টি ঘিলে খাচ্ছে বনাঞ্চল ও পাহাড়ের মাটি,বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হচ্ছে তামাকচাষ,আর মাতামুহুরি নদীর দুপাশে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ক্ষেত কামার, চাষাবাদ। ভাঙছে নদী পাড়ের অসংখ্য বসতি।বাড়ছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। নির্বিচারে উপকূলীয় অঞ্চলের ম্যনগ্রোভ ফরেষ্ট ধ্বংস করে তৈরি করা হচ্ছে অবৈধ চিংড়ি ঘের।ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সমগ্র চকরিয়ায়। এসব পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
এর আগে লামা ফাইতং,চকরিয়ার কাকারা,সুরাজপুর,মানিকপুর,পশ্চিম বড়ভেওলা,কোনাখালী, বদরখালী, ভেওলা মানিকচর ও ঢেমুশিয়া এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং পাহাড়কাটা,বনাঞ্চল উজাড় কি ভাবে এতগুলো ইটভাটা অবৈধ ভাবে চলছে তা পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা ও চকরিয়ার ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও একদল সংবাদকর্মী