ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ. কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৬২

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ১১:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 23

দক্ষিণ কোরিয়াতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা আলাদা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, রোববার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে জেজু এয়ারের ৭সি২২১৬ ফ্লাইটটি ১৭৫ যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে দেশের দক্ষিণে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ‘পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়।

ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে “বেলি ল্যান্ডিং” (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে।

শেয়ার করুন

দ. কোরিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৬২

সময় ১১:১৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা আলাদা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, রোববার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে জেজু এয়ারের ৭সি২২১৬ ফ্লাইটটি ১৭৫ যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিয়ে দেশের দক্ষিণে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ‘পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, টুইন-ইঞ্জিন এই প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আকাশে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠেতে দেখা যায়।

ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে “বেলি ল্যান্ডিং” (বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করে) অবতরণ করার চেষ্টা করেছে।