দ্রুত নির্বাচন চায় সিপিডি
- সময় ০৭:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
- / 26
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সংস্থাটির মতে, এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।
বুধবার রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে পারেনি বলেও মনে করে সংস্থাটি।
অন্তর্বতী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বিগত অর্থবছরের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে কমেছে। বিশেষ করে, আগস্ট মাসে মূলধনী পণ্যের আমদানি প্রায় ৩১ শতাংশ কমে যায়। চলমান চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য জটিল হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির সংকট ও প্রত্যাশা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে সিপিডি জানায়, রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ‘নির্বাচনের পরিবেশটা যত দ্রুত সৃষ্টি করা যায় তত তাড়াতাড়ি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার কোনো কারণ নেই। আমার মনে হয়, যে নির্ধারিত সময়টা দেওয়া হয়েছে সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচনটা হয়ে যাওয়া জরুরি।’
সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কারও করতে হবে, অর্থনৈতিক সংস্কারও করতে হবে। কেবল ইলেক্টরাল সংস্কার দিয়ে হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংস্কার, সেখানে গণতন্ত্রের আনাটাও একটা প্রক্রিয়ায় আনতে হবে।’
সিপিডি বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ঋণ খেলাপির পরিমান জাতীয় বাজেটের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের চেয়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। তাই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া স্বার্থান্বেষী মহলকে মোকাবিলা করে ব্যাংক খাতের সংস্কার সম্ভব নয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা ব্যাংকগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শও দেয় সিপিডি।
নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘চাঁদাবাজি, মজুতদারি, অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করার মতো অনিয়ম এগুলোও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে সরকার বিভিন্ন পণ্যের দাম কমাতে পারছে না।’
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আগের কর্তৃত্ববাদী সরকার একটি অকার্যকর অর্থনীতি রেখে গেছে । অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের মতো অনিয়ম মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ঋণের দুষ্টচক্র থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ প্রতিষ্ঠানটির।