ধারণা সূচকে বাংলাদেশের সঙ্গী ইরান -কঙ্গো
দুর্নীতি সূচকে দুই ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

- সময় ০৪:৩৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 41
দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪-এ দুই ধাপ পিছিয়ে বিশ্বে ১৫১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সমান সূচক নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে ইরান এবং কঙ্গো।
গত বছর বাংলাদেশ এই সূচকে ১৪৯তম অবস্থানে ছিল। সর্বনিম্ন স্কোর পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রকাশিত এই সূচকে ১৮০টি দেশের র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চলতি বছরে বাংলাদেশের স্কোর ২৩, যা গত বছরের তুলনায় ১ পয়েন্ট কম। ২০২৩ সালে এই স্কোর ছিল ২৪।
টিআই-এর সূচক অনুযায়ী, ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ‘০’ স্কোরকে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ‘১০০’ স্কোরকে সর্বাধিক সুশাসিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১২ সালের পর এটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ভুটান ছাড়া অন্যসব দেশের স্কোর কমেছে।
টিআইবির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিগত ১৩ বছরে কর্তৃত্ববাদী সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথাবার্তা বললেও বাস্তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে এবং লালন করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতিবাজদের তোষণ, আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব এবং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের অবস্থানের ক্রম অবনতি হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
২০২৪ সালের সিপিআই সূচকে সর্বোচ্চ স্কোর পেয়েছে ডেনমার্ক এবং সর্বনিম্ন স্কোর পেয়েছে সাউথ সুদান।
সিপিআই সূচকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৫ থেকে ২৮-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। তবে ২০২৩ সালে এটি এক পয়েন্ট কমে ২৪ হয় এবং ২০২৪ সালে আরও এক পয়েন্ট কমে ২৩-এ নেমে আসে। ১৩ বছরের গড় স্কোর ২৬-এর তুলনায় এবারের স্কোর প্রায় তিন পয়েন্ট কম।
এই সময়কালে নিম্নতম অবস্থানে বাংলাদেশ সর্বাধিক চারবার ১৩তম, তিনবার ১৪তম, দুইবার ১২তম এবং একবার করে ১৫, ১৬ ও ১৭তম অবস্থানে ছিল। টিআইবি মনে করে, দুর্নীতির লাগাম টানতে কার্যকর ও দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং শক্তিশালী দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।