দুদকের তদন্তে বান্দরবানের ২৭ আ.লীগ নেতা

- সময় ১০:৩৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 67
ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ২৭ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
তথ্য অনুসারে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে লুটপাটের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন এই নেতারা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তারা। গত আগস্টে সরকারের পতনের পর অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তাদের সম্পদের সন্ধানে দুদক মাঠে নামে এবং বেরিয়ে আসে নানা অনিয়মের চিত্র। এদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
তালিকাভুক্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাস, জেলা যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. সামসুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক উজ্জ্বল কান্তি দাস, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহসহ আরও অনেকে।
দুদকের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বান্দরবানে কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। প্রথম ধাপে ৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ১১ জনসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশে সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও তার পরিবারের ৫ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালিকায় আরও কয়েকজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
স্থানীয় নাগরিক সমাজের নেতা মিজানুর রহমান বলেন, বীর বাহাদুর ও তার আত্মীয় ক্যশৈহ্লার বিরুদ্ধে ৩৭ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুদকের তদন্তের প্রতি আস্থা রেখে দুর্নীতিবাজ নেতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে, বান্দরবান জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচমং মারমা বলেন, “অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা করছে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি। দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”