দিল্লিতে চার ইস্যুতে বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন শুরু | Bangla Affairs
০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে চার ইস্যুতে বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন শুরু

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 75

বিজিবি-বিএসএফ (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। সেখানে মূলত চারটি ইস্যু নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নিচ্ছে। দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।

অন্যদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালক দিলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। দলে বিএসএফ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও আছেন।

আলোচনার প্রধান চার ইস্যু

সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা:

আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য বিনিময়। নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করা ও সীমান্ত হত্যা, আটক ও অপহরণ রোধ।

অপরাধ ও চোরাচালান প্রতিরোধ:

ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বিশেষ করে ভারত থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকানো।

সীমান্ত অবকাঠামো ও পরিবেশ সংরক্ষণ:

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া ও অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা। আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের দূষিত বর্জ্য অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন। জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের সংযোগ পুনরুদ্ধার।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা:

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এই সম্মেলন সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

দিল্লিতে চার ইস্যুতে বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন শুরু

সময় ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। সেখানে মূলত চারটি ইস্যু নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নিচ্ছে। দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।

অন্যদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালক দিলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। দলে বিএসএফ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও আছেন।

আলোচনার প্রধান চার ইস্যু

সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা:

আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য বিনিময়। নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করা ও সীমান্ত হত্যা, আটক ও অপহরণ রোধ।

অপরাধ ও চোরাচালান প্রতিরোধ:

ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বিশেষ করে ভারত থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকানো।

সীমান্ত অবকাঠামো ও পরিবেশ সংরক্ষণ:

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া ও অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা। আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের দূষিত বর্জ্য অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন। জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের সংযোগ পুনরুদ্ধার।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা:

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এই সম্মেলন সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।