দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ভয়াবহ দাবানল, মৃত্যু ২৬ | Bangla Affairs
০৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ভয়াবহ দাবানল, মৃত্যু ২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সময় ১০:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 26

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ভয়াবহ দাবানল

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। দাবানল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাজারো দমকল কর্মী ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। খবর বিবিসির।

দাবানলের কারণে ২৩ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বয়স্ক নাগরিক। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু একে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলে অভিহিত করেছেন।

গত শুক্রবার সানচেয়ং কাউন্টি থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয় এবং তা উইসেয়ংসহ অন্তত ছয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত বিস্তার লাভ করে, যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তুলেছে।

উইসেয়ং শহরে ১ হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো গউনসা মন্দির সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ঐতিহাসিক নিদর্শন রক্ষায় প্রশাসন সচেষ্ট থাকলেও আগুনের ভয়াবহতা অনেক কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় একটি অগ্নিনির্বাপণ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হন। এছাড়া তিনজন দমকলকর্মীও আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণ হারিয়েছেন।

এ দাবানলে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম ক্ষতি। প্রশাসন পরিস্থিতি সামলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ভয়াবহ দাবানল, মৃত্যু ২৬

সময় ১০:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। দাবানল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হাজারো দমকল কর্মী ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। খবর বিবিসির।

দাবানলের কারণে ২৩ হাজারের বেশি মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বয়স্ক নাগরিক। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু একে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলে অভিহিত করেছেন।

গত শুক্রবার সানচেয়ং কাউন্টি থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয় এবং তা উইসেয়ংসহ অন্তত ছয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত বিস্তার লাভ করে, যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তুলেছে।

উইসেয়ং শহরে ১ হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো গউনসা মন্দির সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ঐতিহাসিক নিদর্শন রক্ষায় প্রশাসন সচেষ্ট থাকলেও আগুনের ভয়াবহতা অনেক কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় একটি অগ্নিনির্বাপণ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হন। এছাড়া তিনজন দমকলকর্মীও আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণ হারিয়েছেন।

এ দাবানলে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম ক্ষতি। প্রশাসন পরিস্থিতি সামলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।