থানার মধ্যে বিএনপি নেতার বুকে লাথি মারলো আ.লীগের আসামি

- সময় ০৩:০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 24
রাজশাহীতে থানার ভেতর বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপি নেতার বুকে লাথি মেরেছে আ.লীগের আসামি নিজেই। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে বোয়ালিয়া থানায় এ ঘটনা ঘটে। জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলারী আসামিকে এক পক্ষ ধরিয়ে দেওয়ার পর অন্য পক্ষ ছাড়াতে গেলে থানায় দু’পক্ষের মাঝে হাতাহাতি হয়।
জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে পুলিশে ধরিয়ে দেন বিএনপির এক পক্ষের নেতাকর্মীরা। রোববার দপুরে তাকে বোয়ালিয়া থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির অপর একটি পক্ষ তাকে ছাড়াতে থানায় অবস্থান নেয়। বিএনপির ওই পক্ষ আসামির পক্ষের হয়ে কথা বললে থানা প্রাঙ্গণেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ আসামিকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করলে ওসির হাতে থাকা অবস্থাতেই কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন সরকার টিটুর ওপর হামলা করেন আসামি আবুল কালাম। এমনকি বুকেও লাথি মারেন। এসময় আসামি আবুল কালামকে বিএনপির একটি পক্ষ মারতে তেড়ে যায়। তবে অপর পক্ষ ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় ও দ্রুত গাড়িতে করে আসামিকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে থানা প্রাঙ্গণে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কৃষকদলের আলামিন সরকার টিটু অভিযোগ করে বলেন, আবুল কালাম গত বছরের ৫ আগষ্ট মামলার আসামী। আওয়ামী সরকারের দোসর জানার পরেও বিএনপির কিছু নামধারী নেতা থানা থেকে আসামি ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতে আসে। এটি দুঃখজনক।
তিনি আরও জানান, আমরা প্রতিবাদ করার কারণে থানার ভিতরে ওসিসহ সকলের সামনে আমাকে আবুল কালাম লাথি মারে এবং শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জিল্লুর রহমানসহ রাজশাহী নগরীর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের কিছু নামধারী নেতাকর্মীরা আমাদের লাঞ্ছিত করে।
মহানগরের শাহমখদুম থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, আবুল কালাম আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়ায় দেখা করতে গিয়েছিলাম। আওয়ামী শাসনামলে আবুল কালামকে ইউরিয়া সার ডিলার সমিতির সভাপতি থেকে বের করে দেয়া হয়। ২০২৪ সালে মেয়র লিটন দ্বারা মামলার শিকার হন।
তিনি আরও বলেন, আবুল কালাম একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। ব্যবসায়িক স্বার্থে মেয়র লিটনসহ বিভন্ন আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সমন্বয় করে চলতে হতো। জিল্লুর অভিযোগ করেন, মূলত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সমিতি দখল করতেই আবুল কালামকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আসামী আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করার পর নগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা একে অপরের সাথে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু করে।