জানাজায় অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনদিন অপেক্ষা নয়, শনিবারই হাসান আরিফের দাফন
- সময় ০৯:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 39
অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন। এদিকে, উপদেষ্টা হাসান আরিফের দাফনের সিদ্ধান্ত তার মেয়ে বিদেশ থেকে ফেরার পর (২২ ডিসেম্বর, তিনদিন) নেয়া হবে বলে প্রথমে জানানো হলেও আগামীকাল শনিবারই শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এমনটা নিশ্চিত করেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, তার মেয়ে কানাডায় আছেন। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, তার জন্য অপেক্ষা করা হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আগামীকাল শনিবার বাদ জোহরই দাফন সম্পন্ন হবে।
এছাড়া আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তার আরেকটি জানাজা হবে বলেও সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে আজ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) নাছির উদ্দিন বলেন, স্যার শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন, জ্বরও ছিল। দুপুরে খাবার টেবিলে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ.এফ. হাসান আরিফ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ এর দশকে এ.এফ. হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি অক্টোবর ২০০১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতারণামূলক প্রশংসাপত্র ব্যবহার কারী বিএনপি-সমর্থক বাংলাদেশ হাইকোর্টের একজন বিচারকের লাইসেন্স প্রত্যাখ্যান করেন। তাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আইনজীবীদের সমর্থন করতে ব্যর্থতার কারণে তিনি চার বছর দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া ২০০৮-০৯-এ ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।