তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

- সময় ১১:২৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 33
কুমিল্লার মুরাদনগরে ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—নিজাম উদ্দিন (৩০), ইয়াসিন (৩৫), রুবেল মাঝি (২৫), মনির হোসেন (৩৫), জুয়েল (২৪), আল-আমিন, রহমান শিকদার, কাজল খান, ফাহিম শিকদার ও ডালিম সরকার।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কি ঘটেছিল?
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মতে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আমপাল গ্রামের সুরুজ ফকির বাড়িতে তাহেরীর আগমন উপলক্ষে একটি মাহফিল আয়োজন করা হয়। তবে, তার আগমনের বিরোধিতা করে স্থানীয় আলেম সমাজ ও এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করলে সুরুজ ফকিরের অনুসারীরা এতে বাধা দেয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
এক মিছিলকারী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম, কিন্তু সুরুজ ফকিরের অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”
অন্যদিকে, মাহফিল আয়োজকদের দাবি, প্রতিবাদকারীরা মিছিল নিয়ে মাজার ভাঙতে আসছে এমন খবরে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে, ফলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশের ভূমিকা
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, “মূলত আমপালের মোবাইল ব্যবসায়ী আল-আমিন আমপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সমাবেশ করেন। পরে তিনি ও তার অনুসারীরা মিছিল নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ফকির সুরুজ মিয়ার মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।”
তিনি আরও জানান, তাহেরীর আগমনের বিষয়ে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত আবেদন করেছিল। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এ বিষয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় থানায় উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার পর মাহফিল আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।