তামিম ইকবালের মৃত্যুর খবর, অতপর…

- সময় ১২:০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
- / 68
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তামিম ইকবালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, তার চাচা আকরাম খানকে জানানো হয় যে তামিম আর বেঁচে নেই। এই খবরটি শুনে আকরাম চাচা থমকে যান। তবে ঘণ্টা দেড়েক পর, স্বস্তির খবর পান যে তামিম বেঁচে আছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল হয়ে আসছে।
সম্প্রতি ভাতিজার এই সংকটজনক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন আকরাম। তিনি বলেছেন, বর্তমানে তামিম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও, তার শরীরের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
গত ২৪ মার্চ, ডিপিএল ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। শরীর খারাপ হলে তিনি নিজের গাড়িতে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে চলে যান। কিছু সময় পর আবার মাঠে ফিরলেও, অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। তবে, দ্বিতীয়বার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তাকে আর হেলিকপ্টারে উঠানো সম্ভব হয়নি এবং তাকে পুনরায় কেপিজে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা ২২ মিনিট সিপিআর এবং ৩টি ডিসি শক দিয়ে তামিমকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসেন। এরপর তার এনজিওগ্রাম করা হয় এবং ব্লক হওয়া ধমনিতে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
তবে এরই মধ্যে আকরাম চাচাকে জানানো হয় যে তামিম বেঁচে নেই। তিনি এই খবর শোনার পর হতভম্ব হয়ে যান। তবে দেড় ঘণ্টা পর চিকিৎসকদের কাছ থেকে নতুন খবর পান এবং তার পরিমাণ কিছুটা স্বস্তি পান। আকরাম বলেন, “যখন খবরটা পেয়েছি, দ্য নিউজ ওয়াজ ভেরি ব্যাড। আমাকে বলা হলো তামিম আর বেঁচে নেই। এটা কল্পনা করতে পারিনি, এমন খবর কখনোই ভাবিনি। এত অল্প বয়সী ছেলের জন্য এমন খবর।”
তামিম ডিপিএলে দারুণ ছন্দে ছিলেন, এবং এই আকস্মিক অসুস্থতা আকরামের কাছে পুরোপুরি অবিশ্বাস্য ছিল। আকরাম বলেন, “স্পোর্টসের সাথে যুক্ত মানুষ, যে মাত্র ১০ দিন আগে দুইটি সেঞ্চুরি করেছে, এমন কিছুর কল্পনা করাও যায় না।”
কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ভক্ত-সমর্থকদের দোয়াকে তামিমের সুস্থতার জন্য বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আকরাম। তিনি বলেন, “তামিম যে জায়গা থেকে ফিরে এসেছে, তা কেবল আল্লাহর রহমত এবং আপনারা যারা দোয়া করেছেন, তাদের কারণে সম্ভব হয়েছে।”
২৫ মার্চ, তামিমকে সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, এবং তার অবস্থাও কিছুটা ভালো। তবে, তার পরিবারের পরিকল্পনা, আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার। আকরাম বলেন, “এখন সে পর্যবেক্ষণে আছে। আরও ২-৩ দিন এই অবস্থায় থাকলে তাকে বাসায় নিয়ে আসতে পারব। চিকিৎসা পুরোপুরি হয়েছে, তবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তাকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে পরীক্ষা করাব।”