তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি-জামায়াতসহ তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানির দিন ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ
- সময় ০১:০৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
- / 242
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানির দিন আপিল বিভাগ ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর), প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। আইনজীবীরা দাবি করেন যে দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণার জন্য উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষা করতে হবে।
১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো সংবিধানের বাইরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে আবারও আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি।
আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের চাপে পড়ে বিএনপি সরকার সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী যুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। এরপর ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় আসে। পরে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের রায় দেয়, যা সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের পতনের প্রেক্ষিতে বিএনপি-জামায়াতসহ আরও তিনটি পক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে রিভিউ আবেদন করে।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এক মাসের সময় চান এবং শুনানির দিন ১৭ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
আইনজীবীরা মনে করেন, দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।